বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নেবে থাইল্যান্ড

ভারত ও ভুটানের পর এবার বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড ব্যান্ডউইথ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী। সম্প্রতি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) অষ্টম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা পাশের দেশ ভারতের বাজার ধরেছি। তারা আরও জিবিপিএসের চাহিদা পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে থাইল্যান্ডের সঙ্গেও ইন্টারনেট ডেটা বিক্রির কথা চলছে’।
পটুয়াখালীর উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা গ্রামে নির্মাণাধীন সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কুয়াকাটাসংলগ্ন এলাকায় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এটি চালু করা হলে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট ডেটা (জিবিপিএস) পার সেকেন্ডে সরবরাহ করা সম্ভব। এখান থেকে সাড়ে ৭০০ জিবিপিএস দেশের বাইরের বাজারে বিক্রি করার চিন্তা রয়েছে। বাকিটা দেশে ব্যবহার করা হবে’।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
 সভায় বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কোম্পানির পরিচালক জালাল আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ  বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও কোম্পানির পরিচালক শওকত মোস্তফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং কোম্পানির পরিচালক রবীন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী, পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও কোম্পানি সচিব আবদুস সালাম খান প্রমুখ।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারত ছাড়াও ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও ইতালি ব্যান্ডউইথ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক করেছে। এর মধ্যে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে আছে ভুটান। এছাড়া ইতালিতে ব্যান্ডউইথ দেওয়ার জন্য  গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিএসসিসিএল অনুমোদন দিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি ফাইল পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবলের কাছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৩২ জিবিপিএস। যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেশের বাইরে রপ্তানি করার জন্য গত চার বছর আগে থেকেই তৎপর রয়েছে বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক অবস্থায় এটা ভারত পেয়েছে। এরপর ইতালি। পরের ধাপে অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা। এই দেশগুলো চার বছর আগে থেকেই ব্যান্ডউইথ ক্রয় করার জন্য আবেদন করেছিল। আর সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলো থাইল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.