বাংলাদেশ – পাকিস্তান ম্যাচ: আজ ইডেন হয়ে যাক মিরপুর স্টেডিয়াম

মিরপুর স্টেডিয়াম মানেই বাংলাদেশের জন্য লাকি ভ্যেনু, সর্বশেষ  ম্যাচগুলোয় পাকিস্তানকে এক রকম হেসেখেলেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা ছাড়াও দু-দুটো টি২০ ম্যাচে পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়েছে মাশরাফি মর্তুজারা। দুই সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদিদের পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। জয়ের টাটকা স্বাদ নিয়ে আজ কলকাতার ঐতিহ্যবহুল ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছেন মাশরাফি ও তার সহযোদ্ধারা। ১ নম্বর গ্রুপের এ ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়।

এই তাপ ছড়ানো ম্যাচ শুরুর আগে ইডেন কি আজ মিরপুর হয়ে উঠবে, এমনটা ভাবছেন অনেকেই। মাঠের লড়াইয়ে কী হবে, সেটা অন্য বিষয়। তবে সমর্থনের দিক থেকে মিরপুরের গ্যালারির সঙ্গে ইডেনের গ্যালারির খুব পার্থক্য হবে না, এমনটাই জানাচ্ছে কলকাতার মিডিয়া। ঐতিহ্যের দিক থেকে লর্ডস, মেলবোর্নের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় ইডেন গার্ডেনের নামও। তবে বাঙালির গর্ব ক্রিকেটের উদ্যান বিবেচিত ইডেনে বাঙালিরা খুব কমই পেয়েছেন ফুল ফোটানোর সুযোগ। কেননা টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ইডেনে আজ পর্যন্ত খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এ তীর্থক্ষেত্রে বাংলাদেশের একমাত্র ও শেষ ম্যাচটি ২৬ বছর আগের। ১৯৯০ সালে এশিয়া কাপে ইডেনে ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার আতহার আলী খান। সেই স্মৃতি হয়তো বারবার স্মরণ করবেন এ সময়ের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতহার আলী।

Bd vs PK

আজ ইডেনে তামিম-মুশফিক-সাকিব-মাশরাফিদের সাম্প্রতিক ফর্মের সঙ্গে টনিক হিসেবে কাজ করবে আতহার নামটিও। হারা ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন আতহার। তখন ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বিপক্ষে মাঠে নামাটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ছিল বড় এক অভিজ্ঞতা। আর এখন কুলীন দলগুলোর বিপক্ষে জয়টাকে নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত করে ফেলেছে টাইগাররা। একটা নতুন পেক্ষাপটে ইডেনে আজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বহুল প্রতীক্ষিত এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে অবশ্য বেশ সতর্ক মাশরাফি। বলেছেন, ‘টি২০ ক্রিকেটে ফেভারিট বলে কিছু নেই। পাকিস্তান সবসময়ই ভালো দল। টি২০তে তাদের রেকর্ড খুব ভালো। মূল পর্বে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’ তামিম ইকবালের সাম্প্রতিক ফর্ম মাশরাফিকে আরো বেশি আশাবাদী করে তুলেছে। তার কথায়, ‘দারুণ খেলছে তামিম। আসলে তামিম ফর্মে থাকলে আমাদের আর চিন্তা থাকে না।’ বাছাই পর্বের শেষ তিন ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ৮৩*, ৪৭ ও ১০৩* রান।

টি২০ ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের দুই জয়ের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে সাত ম্যাচে। ২০১৩ সালে এ মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকেও হারিয়েছিল পাকিস্তান। স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী আফ্রিদি। বলেছেন, ‘এখানে আমাদের রেকর্ড ভালো। ভালো করার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.