বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উত্সব
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গতকাল শুক্রবার শুরু হলো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উত্সব। বাংলাদেশের সংস্কৃতির ইতিহাস সুপ্রাচীন। এই সংস্কৃতি বাংলার গৌরবের ও ঐতিহ্যের। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উত্সব’ শিরোনামে এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল।
গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে উত্সব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দীন। এ উত্সব চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ দিনের এ উত্সবে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে একাডেমির নন্দন মঞ্চে থাকছে বাংলাদেশের সকল জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশুদল ও বড়দের পরিবেশনায় সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, একক সঙ্গীত, আবৃত্তি, অভিনয় ও জেলার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পরিবেশনা। রঙ বেরঙের বেলুন, আতশবাজি ও ৬৪ জেলার প্রতীকী আলোক প্রজ্বলন করে এ উত্সবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনকালে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমরা সংস্কৃতি চর্চাকে তৃণমূলে নিয়ে যেতে চায়। আবার তৃণমূলের প্রতিভাকে কেন্দ্রে এনে সেটা সারাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, বছরটি সকলের জন্য কল্যাণের হোক। রাজনীতি ও অর্থনীতি যদি রাষ্ট্রের শরীর হয়, তাহলে সংস্কৃতি তার মুখ। সেই মুখটি আমরা খুঁজে পায় বিশাল বাংলার মাঝে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নির্মাণ কাজে অনুদান
নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সকলকে সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নির্মাণ তহবিলে অনুদান প্রদানকারীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তরা এ আহ্বান জানান। অনুদান অনুষ্ঠানে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে উদ্যোক্তা সদস্যের পদ গ্রহণ করেন পার্বত্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি । প্রতীকী ইট ক্রয়ের জন্য যারা অনুদান দিয়েছেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, অনুপম প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মিলন কান্তি নাথ, মোস্তফা কামাল পাশা, নারগিস আক্তার, জিনায়দা ইরফাত, আমিনুল ইসলাম বেদু, আব্দুল ওয়াহাব ও মাইনুর মোর্শিদ।
তরুপল্লবের আয়োজনে প্রকৃতি পাঠ
নগরীর যান্ত্রিকতা ভুলে একটু সবুজ—শ্যামলের ছোঁয়া পেতে তরুপল্লবের আয়োজনে বসেছিল প্রকৃতি পাঠের আসর। গতকাল শুক্রবার পৌষের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল সংলগ্ন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বোটানিক্যাল গার্ডেনে হয়ে গেল সংগঠনের ২১তম ‘গাছ দেখা গাছ চেনা’ অনুষ্ঠান। ঢাবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে উপস্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রকৃতিপ্রেমীকে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং তরুপল্লবের যৌথ আয়োজনে সেখানকার গাছগুলোয় নামফলক স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।