বায়ু দূষণরোধে কী পদক্ষেপ, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় বায়ু দূষণরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের তা জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত বায়ু দূষণরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, পুলিশের আইজি, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক।

১৭ জানুয়ারি আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমেদ ও মো: মুজিবর রহমান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

আবেদনে বলা হয়- সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা ঝাঁড়– দিয়ে ধূলা বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। ধুলাবালি ও আবর্জনা রাস্তার পাশে জড়ো করে রাখে। সারাদিন রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের কারণে বাতাসে তা ছড়াতে থাকে। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় জড়ো করা আবর্জনা পোড়ানোর ফলে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এসব ধূলা ও ধোঁয়ার কারণে নগরবাসী শ্বাসকষ্ট নিয়ে চলাচল করছেন। এছাড়া যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণেও নগরবাসী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

আবেদনে আরো বলা হয়- বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বায় দূষণে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে। ৬৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় দু’শ’ মিলিয়ন ডলারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.