বিমানটি একেবারে নতুন হওয়া সত্বেও কীভাবে বিধ্বস্ত হলো?

লায়ন এয়ারের ফ্লাইট জেটি ৬১০ বিধ্বস্ত হলো সাগরে। জাকার্তা থেকে ১৯০ জন যাত্রী ও ক্রুসহ উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়ে।
কিন্তু এ বিমানটির দুর্ঘটনার পর অন্য আরেকটি বিষয়েও দৃষ্টি পড়েছে সবার – সেটি হলো বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ ব্র্যান্ডের এ বিমানটি ছিলো একেবারেই নতুন বা ব্র্যান্ড নিউ।
বিবিসির হাতে থাকা একটি টেকনিক্যাল লগে দেখা যাচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা হয়েছে যদিও দুর্ঘটনার বিস্তারিত কারণ এখনো জানা যায়নি এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
সাধারণত বিমান দুর্ঘটনার জন্য দুটি বিষয়ই কাজ করে- প্রযুক্তিগত কিংবা মানুষের ভুল।
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ ব্র্যান্ডের বিমানের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে।
আর যে বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হলো সেটি কার্যক্রম শুরু করেছে গত পনেরই অগাস্ট থেকে।
বাজেট এয়ার হিসেবে পরিচিত লায়ন এয়ার জুলাইয়ে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলো যে ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম তারা এ ধরণের বিমানের অপারেশন শুরু করতে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিশনের প্রধান সোয়েরজানতো টাহজানো বলেছেন বিমানটি মাত্র আটশ ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছিলো।
দুর্ঘটনায় পড়ার আগে জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পরপরই পাইলট জাকার্তায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন।
আর সে কারণেই মনে করা হচ্ছে যে টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত কারণেই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে কি-না যা উড্ডয়নের পরপরই পাইলট বুঝতে পেরেছিলেন।
তবে একটি টেকনিক্যাল লগে দেখা যাচ্ছে বাতাসের গতি বোঝার যে যন্ত্র সেটি হয়তো কাজ করছিলোনা।
যদিও লায়ন এয়ার এ ধরণের রিপোর্ট সত্যি কি-না তা এখনো বলেনি।
তবে একজন কর্মকর্তা বলেছেন লায়ন এয়ার একই মডেলের এগারটি এয়ারক্রাফট পরিচালনা করছে।
বিবিসি বাংলা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.