বুকের দুধে বাঁচে মা-শিশুর প্রাণ

শিশু জন্মের পর কমপক্ষে ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; যা শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যও মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। বুকের দুধ খাওয়ানো শুধু শিশুর জন্যই উপকারী নয়, এটি মায়ের জন্যও বেশ জরুরি। এর ফলে মায়ের সঙ্গে শিশুর মানসিক সংযুক্তি তৈরি হয়। সেইসঙ্গে মায়ের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, মায়ের বুকের দুধের রয়েছে জীবনরক্ষাকারী উপকারিতা। বুকের দুধ খাওয়ালে মা ও শিশু উভয়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এমনকি আর্থিকভাবেই ভালো থাকা যায়। ইউনিসেফ চিফ অব নিউট্রিশন ওয়ার্নার স্কুলটিংক বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বুকের দুধ খাওয়ানোর অনন্য প্রভাব রয়েছে। এমনকি ধনী ও গরিব উভয় দেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব বর্ণনাতীত।

তিনি বলেন, শিশুর বেঁচে থাকা, স্বাস্থ্য, বেড়ে ওঠা, উন্নতি, টেকসই ও সমৃদ্ধিশালী ভবিষ্যত গঠনে পর্যাপ্ত পরিমাণ মায়ের দুধের বিকল্প নেই। এ ছাড়া এতে নানা রকম রোগ থেকে মুক্ত থাকে মা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের বুকের দুধ শিশুর জীবন বাঁচায়, শিশুর হঠাৎ মৃত্যু ও অভ্যন্তরীণ রোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণা প্রবন্ধটি স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে মায়ের বুকের দুধের অর্থনৈতিক গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

এতে মায়েদের কমপক্ষে ১৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি সরকারে প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করায় না তাদের উপার্জনের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে প্রতিটি দেশের বার্ষিক ক্ষতি হয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। ইউনিসেফ বলছে, শিশুকে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজিএস) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.