বৃটেনের অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিলেটের ইয়াসমিন চৌধুরী
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক ব্যবসায়ী ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপী দেশের জন্য অনন্য এক সম্মান বয়ে এনেছেন। দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ভিখারি হিসেবে নয়, মানুষের মতো মানুষ হিসেবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের স্বীকৃত হিসেবে এই বিরল সম্মান অর্জন করেন। তিনি মনে করেন, মানুষকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিতে পারলে দারিদ্র্য দূর হবে, সমাজে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। কারও কাছে হাত পাতা নয়, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি সিলেটের কৃতী সন্তান এবং চ্যারিটি সংগঠন লাভদেশ ও চ্যারিটি আমকারিজার প্রতিষ্ঠাতা। তার অসাধারণ দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার স্বীকৃতস্বরূপ আল-রায়ান ব্যাংক প্রবর্তিত চতুর্থ বার্ষিক জাতীয় বৃট্রিশ মুসলিম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। গ্রেট বৃটেনে এ পুরস্কারটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপী দীর্ঘদিন যাবৎ তার পৈতৃক এলাকা বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগরে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও বেকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একাই বিশাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ইয়াসমিন চৌধুরী তার কার্যক্রমের বড় এক স্বীকৃতি ২৮শে জানুয়ারি অর্জন করেছেন। ওই দিন বৃটিশের দশটি সেরা চ্যারিটির মধ্যে ইয়াছমিন চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত লাভদেশ ও আমকারিজা বৃটিশ মুসলিম অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। আর এ অ্যাওয়ার্ড অর্জনের বিরল সাফল্য অর্জন করেছেন ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপী। তার এ সাফল্য অর্জনের পিছনে তার মরহুম পিতার অনুপ্রেরণা ও আদর্শ কাজ করেছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ইয়াসমিন তার খাদ্য, নকশা এবং পর্যটন পণ্য পরিসীমা বিকাশ ভ্রমণ স্কাউট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট গ্রামীণ পরিবার এবং কারিগরদের সঙ্গে ঘাস শিকড়ে কাজ করেছেন। ইয়াসমিনের প্রিয় পিতা সমাজসেবী দানবীর আলহাজ আব্দুল মুকিত চৌধুরী (মখন মিয়া) ২০০৪ সালে বাংলাদেশে এক সংঘর্ষে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৬০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি সেখানে একটি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ছিলেন এবং বাংলাদেশের সিলেটের একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন। সেখানে তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল, মাদরাসাসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।