ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৬ মুসলমান প্রার্থীর বিজয়
ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে মুসলমান আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে ২৬ মুসলমান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে কাশ্মীরের ফারুক আব্দুল্লাহ ও হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়াইসি উল্লেখযোগ্য।-খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের
গত লোকসভায় ২৩ মুসলমান সদস্য ছিলেন। তাদের অধিকাংশই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে সবচেয়ে বেশি মুসলমান প্রার্থী লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ভারতের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হচ্ছেন মুসলমানরা। এসব প্রার্থীরা তাদের হয়ে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন।
হায়দরাবাদ থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার বেশি ভোট জয়ী হয়েছেন ওয়াইসি। এটা তার টানা চতুর্থ বিজয়। ভারতের সবচেয়ে বেশি মেয়াদে নির্বাচিত মুসলমান প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
তার দলের প্রার্থী সাবেক সাংবাদিক ইমতিয়াজ জলিল সাঈদ মহারাষ্ট্র থেকে ৪৫ হাজার বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। উত্তর প্রদেশ থেকে চার মুসলমান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এছাড়াও আরও দুই প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
১৪ ও ১৫তম লোকসভা নির্বাচনে ৩০ ও ৩৪ মুসলমান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল।
আর ১৯৮৪ সালে ক্ষমতায় আসেন রাজিব গান্ধী। তখন দেশটিতে লোকসভায় ৪২ মুসলমান সদস্য ছিলেন। আর লোকসভায় সবচেয়ে কম মুসলমান প্রার্থী ছিলেন ১৯৫২ সালে। তখন ১১ মুসলমান প্রার্থী নির্বাচিত হন।
রোজা রাখলে ক্যান্সারের কোষও মারা যায়:নোবেল জয়ী জাপানি গবেষক ওশিনরি ওসুমি
একজন জাপানি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভার্জিনিয়া টেক থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, চাকরি করছেন একটা প্রাইভেট ফার্মের বড় পদে। তিনি প্রতিবছর রোজা রাখেন।
তবে তিনি কেন রোজা রাখেন এ সর্ম্পকে এক সাক্ষাতকারে মুসলমানদের পবিত্র রোজা সম্পর্কে এক বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলমানরা যাকে রোজা বলে, আমি তাকে বলি ‘অটোফেজি’। রোজার মাসে খাবার-দাবারের ঝামেলা, তাই এই মাসটা আমি অটোফেজি করি।
অটোফেজি কি তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুসলমানরা তাদের ধর্মের বিধান অনুযায়ী যে রোজা পালন করেন তার উপর গবেষণা করে জাপানি গবেষক ওশিনরি ওসুমি ২০১৬ সালে ‘অটোফেজি আবিষ্কার করে নোবেল জয় করেছেন! অটোফেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে।
বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে আত্ম ভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা। উপবাসের সময় মানুষের শরীরের সক্রিয় কোষ গুলো চুপচাপ বসে না থেকে সারা বছরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক আর নিষ্ক্রিয় কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে শরীরকে নিরাপদ আর পরিষ্কার করে দেয়। এটাই ‘অটোফেজি।
‘অটোফেজি আবিষ্কারের পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের বা ধর্ম মানে না অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সারা বছরে বিভিন্ন সময়ে ‘অটোফেজি করে শরীরটাকে সুস্থ রাখে। অটোফেজি তে ক্যান্সারের কোষও মারা যায়! ‘অটোফেজি আবিষ্কার হলো ২০১৬ তে, অন্য ধর্মাবলম্বীরা এখন ‘অটোফেজি করছে এর উপকারীতা জেনে।
আর মুসলিমরা ‘অটোফেজি করে আসছে হাজার বছর ধরে কিছু না জেনে; শুধু বিশ্বাস করে । অনেক কিছুতেই হয়তো আপনি মানে খুঁজে পাননা কিন্তু এটাই সত্য যে ইসলামে অকল্যাণের কিছু নেই!
ওসুমি জাপানের ফুকুকায় জন্মগ্রহণ করেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বিজ্ঞানে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটির রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো ছিলেন।
১৯৭৭ সালে সহযোগী গবেষক হিসেবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ১৯৮৬ সালে প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৯৬ সালে ওকাজাকি সিটিতে অবস্থিত জাতীয় বেসিক বায়োলজি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হেয়ামার গ্র্যাজুয়েট এডভান্সড স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ সালে অবসর নেয়ার পরও ইনোভেটিভ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও টোকিও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপকের দায়িত্ব চালিয়ে যান। রোজার উপর গবেষণা করে নোবেল জয় করলেন ভিনধর্মী ওসুমি।
২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার ’ওশিনরি ওসুমি’-কে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে পুরষ্কার দেয়। এরপর থেকে আধুনিক মানুষেরা ব্যাপকভাবে রোজা রাখতে শুরু করে। সুত্র বাংলাদেশ টুডে