ভারত সীমান্তে এফ-১৬ ‘র গোটা বহর মোতায়েন পাকিস্তানের!

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের গোটা বহর ভারত সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির কোনো কোনো সংবাদপত্র এ খবর দিয়েছে।

অবশ্য, পাকিস্তান এখনো এ খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় নি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার পরও তা এখনো ভারতের জন্য খুলে দেয়া হয়নি। গত মাসের ২৭ তারিখে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের আকাশে পাক-ভারত যুদ্ধ বিমানের লড়াইয়ের পর গোটা দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। এ আকাশ যুদ্ধে ভারতের দুটি মিগ-২১ বিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল পাকিস্তান। অবশ্য, একটি মিগ-২১ পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বৈমানিক উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি আকাশ যুদ্ধে পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল ভারত। অবশ্য, পাকিস্তান এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদপত্রে সোমবার প্রকাশিত খবরে আরো দাবি করা হয়েছে যে, রাওয়ালপিণ্ডি সেনা সদর দফতরের ১০ কোর এবং শিয়ালকোটে মোতায়েন স্পেশাল ফোর্সেস বিগ্রেডকে জন্মু এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।
এ ছাড়া, রুশ সংবাদ সংস্থা স্পুতনিক ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, বেলুচিস্তানে মোতায়েন সেনাদের অংশ বিশেষকে পাক-ভারত অভিন্ন সীমান্তে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। গত মাসের ২৮ তারিখ থেকে এ তৎপরতা শুরুর হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।

‘চৌকস অস্ত্রের’ সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বহুমুখী যুদ্ধবিমান

পাকিস্তান বিমান বাহিনী বা পিএএফ জেএফ-১৭ থান্ডার বহুমুখী যুদ্ধবিমান থেকে বাড়তি পাল্লার ‘চৌকস অস্ত্রের’ সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। জেএফ-১৭ থেকে চালানো পরীক্ষার চৌকস অস্ত্র পাকিস্তান নিজেই তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে পিএএফ।

পাকিস্তানি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে অস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। তাই একে চৌকস বা স্মার্ট অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জন্য বড় ধরণের সফলতা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

এ অস্ত্র তৈরির মধ্য দিয়ে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধ বিমানের দিনে বা রাতে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সুনির্দিষ্ট আঘাত সক্ষমতা আরো বাড়ল। এ পরীক্ষার যে ভিডিও প্রকাশ (নিচে) করা হয়েছে তাতে অস্ত্রের স্বরূপ প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা পর্যন্ত অস্ত্রটি ডিজিটালি ঢেকে রাখা হয়েছে। অবশ্য আঘাত হানার পর অগ্নিগোলক উঠতে এবং সেখানে বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে বলে ভিডিওতে দেখা গেছে।

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খান এ সফলতার জন্য পিএএফের বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখন এ অস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান।
সূত্র : পার্স টুডে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.