ভিটামিন ‘এ’ পেতে যা খাবেন
ভিটামিন ‘এ’ মানবদেহের অতীব প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। এটি প্রাণী দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়। এর অভাবে রাতকানা, অস্থি-ঝিল্লি প্রদাহ ও ক্যারাটোম্যালেশিয়া রোগ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ খুবই প্রয়োজন। এখন সবজির ভরা মৌসুম চলছে। এই সময় সব ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে ভিটামিন ‘এ’ পেতে বেশি বেশি যা খাবেন— গাজর এক কাপ কাটা গাজর আপনার শরীরের ৩৩৪ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদা পূরণ করে। অনেকে গাজর রান্না করে খেতে পছন্দ করেন। তবে এর চেয়ে ভালো কাঁচা খাওয়া, সালাদ করে বা এর জুস খাওয়া। মিষ্টি আলু এই মৌসুমে মিষ্টি আলু বেশি পাওয়া যায়। এতে অধিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ আছে। এটি রান্না করে না খেয়ে সালাদ অথবা স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন। সবুজ শাক-সবজি এই মৌসুমে শাক-সবজি বেশি পাওয়া যায়। আর তারুণ্য ধরে রাখতে সবুজ শাক-সবজি খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ নানা উপাদান আছে। তাই এই শীতে বেশি বেশি শাক-সবজি খান। মিষ্টি কুমড়া প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া আপনার শরীরের ১৭০ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব পূরণ করে। এটি আপনি স্যুপ বানিয়ে অথবা বিভিন্ন সবজি মিলিয়ে যাকে বলে ল্যাবরা বানিয়ে খেতে পারেন।
কলিজা আপনি মুরগির ও ছাগলের কলিজা পছন্দ করুন আর না করুন অন্তত ভিটামিন ‘এ’-এর জন্য এগুলো খেতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটি ভুনা করে খেতে পারেন। দুধ প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটা শুধুমাত্র ক্যালসিয়ামেরই উৎস নয়, এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’সহ অন্যান্য ভিটামিন আছে। মাছ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ মাছ রাতকানা, হাড়ের সমস্যা ও অন্যান্য রোগ থেকে দূরে রাখে। টমেটো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ও ভিটামিনের চমৎকার উৎস হচ্ছে টমেটো। গবেষণায় দেখা গেছে, এর লাইকোপিয়া ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে পাকস্থলি ও কলোরেক্টাল ক্যান্সার। এর মধ্যে থাকা মিনারেল যাকে ক্রোমিয়াম বলে, এটি রক্তে সুগার লেভেল ঠিক রাখে। এ ছাড়া এই সবজি ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব পূরণে ভূমিকা রাখে। রেড বেল পিপার এতে ক্যারটিনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। রেড বেল পিপার সালাদে ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ এই খাবারটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।