মঙ্গলে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট
কয়েক বছর পরই মানুষ মঙ্গলগ্রহে যাচ্ছে। আর সেখানে গিয়েও নিশ্চিতভাবে মানুষ অপরাধ করবে। কারণ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির কারণেই অপরাধ ঘটে।
এখন প্রশ্ন হল সেই অপরাধের বিচার কিভাবে করা হবে? বেশি দেরি নয়, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে মানুষ।
সেখানে মানুষ গেলে বিচার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখন চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। এমনকি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট গঠন করারও চিন্তা চলছে।
পৃথিবীতে হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানি, সহিংসতা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি, আর্থিক অনিয়ম ইত্যাদি অহরহই ঘটে। এ প্রবণতা মঙ্গল গ্রহেও থাকবে। ঘটতে পারে ধর্ষণের মতো গুরুতর ঘটনাও।
এ সমস্যার সমাধানে মঙ্গল গ্রহে একটি বিচার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
অপরাধ বিজ্ঞানী ও পুরস্কার বিজয়ী ‘মার্স ট্রিলজি’ বইয়ের লেখক স্ট্যানলি রবিনসন এ বিষয়ে বলেন, পৃথিবীর বাইরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কিভাবে কাজ করবে তার উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ মেরু। মঙ্গলের মতোই বিরূপ ও প্রচণ্ড আবহাওয়া পৃথিবীর এ মেরু অঞ্চলে।
এ এলাকায় কোনো অপরাধ ঘটলে সেটা বিচারের আওতায় আনা খুবই কঠিন। বিভিন্ন রাষ্ট্রের অধীনে পৃথবীর বিভিন্ন অংশে মানুষের নানা অপরাধ প্রতিরোধ করতে নানা আইন-কানুন তৈরি করা হয়েছে। সৃষ্টি করা হয়েছে বিচার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী।
কিন্তু মঙ্গলে তেমন কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই। ফলে কিভাবে এ ব্যবস্থা কাজ করবে তা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গল গ্রহের অপরাধ নিয়ে রীতিমতো ব্যাপক গবেষণা শুরু করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, সেখানে যাওয়ার আগেই গঠন করা যেতে পারে ‘মার্স পুলিশ ডিপার্টমেন্ট’।
এ পুলিশ বাহিনী খুন-ধর্ষণের তদন্ত কিভাবে করবে তার নানা দিক নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার পর মানুষ কিভাবে খাদ্য উৎপাদন করবে, কিভাবে পানি সংগ্রহ করবে- এমন নানা প্রশ্নের সমাধান খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।
যদি একাধিক দেশ মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করে তাহলে সেসব দেশের আইন আলাদা করে পালন করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তবে কিছু বিজ্ঞানী চাইছেন মঙ্গল গ্রহের জন্য আলাদা করে একসেট আইন তৈরি করা হোক।