মঙ্গলে প্রথম পা ফেলুক নারী, চাইছেন নাসার বিজ্ঞানীরা

এতদিন পর্যন্ত যত জন চাঁদে গেছেন তাদের ১২ জনই ছিলেন পুরুষ। এবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম অবতরণকারী একজন নারী হওয়া উচিত। তার মতে, মেয়েদের সামনে আনা উচিত এবং যেদিন কোনো মানুষকে তারা মঙ্গল গ্রহে পাঠাবেন, তার নারীই হওয়া উচিত।

একবিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ গবেষণায় যেসব নারীরা সামনের দিকে রয়েছেন, তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ। হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে নভোচারীদের জন্য বিশাল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অ্যালিসন বলেন, ‘আমার সেন্টার পরিচালক একজন নারী, আমার সাবেক ডিভিশন প্রধান ছিলেন একজন নারী, আমাদের নারী নভোচারীও রয়েছেন- কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত একজন নারীকে চাঁদে পাঠাতে পারিনি।’

প্রায় অর্ধশত বছর আগে রাশিয়া প্রথম একজন নারীকে মহাকাশে প্রেরণ করেন। আর ৪০ বছর আগে নাসা প্রথম নির্বাচন করে একজন নারী নভোচারীকে। অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার নাসাতে ৩০ বছর ধরে আছেন এবং এই সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নাসার অপর এক নারী নভোচারী কারেন নেইবার্গ ইতিমধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন ২০০০ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বেছে নেয়া হলো, তখন আমি ভেবেছিলাম একটা বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হলো যে আমরাই হয়ত পরবর্তীতে চাঁদে যাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমরা সে সুযোগটা পাই নি’।

নারীরা আদৌ চাঁদে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে কারেনের উত্তর ‘এটা হবে। তবে এখানে অনেক রাজনীতি চলে, প্রচুর অর্থের দরকার। সুতরাং বিষয়টা যে খুব দ্রুত হবে সেটা মনে হচ্ছে না, তবে একদিন অবশ্যই হবে’। বিবিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.