মহাকাশে ঘুরছে ৫ হাজার স্যাটেলাইট!
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে মহাকাশে প্রায় পাঁচ হাজার স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) প্রদক্ষিণ করছে। যদিও এগুলোর মধ্যে কার্যকর আছে মাত্র দুই হাজারের মত।
জাতিসংঘের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, কক্ষপথে ৪ হাজার ৬৩৫টি স্যাটেলাইট রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৩৮টি স্যাটেলাইট কার্যকর, বাকি সবগুলোই অকেজো বা ধ্বংসাবশেষ।
গত বছরের আগস্ট মাসের ওই তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় স্যাটেলাইটের ৭৮৮টি বাণিজ্যিকভাবে, ৪৬১টি সরকারি কাজে, ৩৬০টি সামরিক প্রয়োজনে এবং ১২৯টি বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি ৮০৩টির মালিক যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের রয়েছে ২০৪টি, এরপর রাশিয়ার আছে ১৪২টি স্যাটেলাইট।
১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো স্পুটনিক ওয়ান পৃথিবীর সামনে খুলে দেয় বিস্ময়ের এক নতুন অধ্যায়। তবে ১৯৫৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্যাটেলাইট ডিসকভারার- ওয়ান কক্ষপথে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৬০ সালের ১ এপ্রিল টাইরস-ওয়ান কক্ষপথে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে সক্ষম প্রথম স্যাটেলাইট। টাইরস-ওয়ানের পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে মেঘ সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়া ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়ার উপায় জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
ভূতাত্ত্বিক গঠন, ভূমির বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য বিশেষায়িত স্যাটেলাইটের নাম ল্যান্ডস্যাট। ১৯৭২ সালের ২৩ জুলাই ল্যান্ডস্যাট- ওয়ান উৎক্ষেপণ করে যুক্তরাষ্ট্র। ভূত্বকের চ্যুতিরেখা চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে বনভূমি-কৃষিজমির পরিমাপ, নগর মানচিত্র তৈরি- সবকিছুই সম্ভব এই সিরিজের স্যাটেলাইট দিয়ে।
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস হলো বিশেষায়িত বেশকিছু স্যাটেলাইটের এক নেটওয়ার্ক, যার নাম ন্যাভস্টার। এটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। এ ধরনের প্রথম স্যাটেলাইট ব্লক-ওয়ান কক্ষপথে পাঠানো হয় ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
বিশ্বের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট ইকো- ওয়ান ১৯৬০ সালের ১২ আগস্ট কক্ষপথে পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর তিন বছর পর জিওস্টেশনারি অরবিটে যাওয়া প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইটের নাম সিনকম- টু। বঙ্গবন্ধু ওয়ানও আধুনিক প্রযুক্তির এক জিওস্টেশনারি যোগাযোগ স্যাটেলাইট, যা ঘুরবে পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে।