মাকে আশ্বস্ত করতে তারেকের যত চেষ্টা

 

মাকে আশ্বস্ত করতে তারেকের যত চেষ্টা

 মুনজের আহমদ চৌধুরী,যুক্তরাজ্য: মা বেগম খালেদা জিয়াকে আশ্বস্ত করতে লন্ডনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারেক রহমান। সুত্র জানায়, বড়ো ছেলে তারেক রহমানের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকেন বেগম জিয়া। এজন্য তারেক রহমান নিজের শারিরীক সুস্থতা আর সক্ষমতা নিয়ে মায়ের উদ্বেগ দুর করতেই বুধবার সকালে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে নিজে দীর্ঘ পথ ড্রাইভ করেই মাকে ওয়েষ্ট লন্ডনের একটি হোটেলে পৌঁেছ দেন।

লন্ডনে তারেক রহমানের একাধিক ঘনিষ্ঠজন বৃহস্পতিবার বিকেলে এই প্রতিবেদককে জানান, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের সময় তার যাতায়াতের জন্য লাখ লাখ পাউন্ডের বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন অনেক ধর্নাঢ্য ব্যাবসায়ী আর বিএনপি নেতারা। তারা এনিয়ে তারেক রহমানকে আগে থেকেই অনুরোধ করেন। কিন্তু তারেক নিজের ২০০৬ মডেলের পুরনো মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে করেই মাকে নিয়ে যাতায়াত করছেন।
জানা গেছে, এই মডেলের একটি গাড়ি লন্ডনে বাজারমূল্য সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা। তারেক নিজে এখন অনেকটাই সুস্থ। এমনটি মাকে জানাতেই লন্ডন সফরের সময় নিজে ড্রাইভ করেই মাকে নিয়ে যাতায়াত করছেন।
এছাড়াও খালেদার পছন্দের সব খাবার রান্না করছেন পরিবারের সদস্যরাই। দুই পুত্রবধু ডাঃ জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাইফা রহমানকে নিয়ে পারিবারিক আবহে আলাপচারীতায় সময় কাটছে বেগম জিয়ার। নাতনিদের লেখাপড়ার খোজঁ-খবরও নিচ্ছেন তিনি। পরিবারের সব সদস্যদের কাছে পেয়ে পারিবারিক আবহেই প্রথম দুদিন পার করেছেন খালেদা জিয়া।
ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও কন্যারা এখন আপাতত তারেক রহমানের কিংসষ্টনের বাড়ীতেই উঠেছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা এই প্রতিবেদককে বৃহস্পতিবার জানান, শুরুতে হোটেলে উঠলেও পারিবারিক আবহে সময় কাটাতেই বৃহষ্পতিবার থেকে রাতে তারেক রহমানের বাড়ীতেই থাকবেন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, বেগম জিয়ার লন্ডন সফরের সবকিছু দেখভাল ও তদারকি করছেন তারেক রহমান নিজেই। এ কারনেই খালেদা জিয়ার এ সফর সূচী নিয়ে দলের অনেক সিনিয়র নেতাই রয়েছেন অন্ধকারে।
সুত্রগুলো জানায়, ঈদের পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে চোখ অপারেশন হতে পারে খালেদা জিয়ার। এ সফরে খালেদা জিয়া তিন সপ্তাহ লন্ডনে থাকবেন ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক জানান, মূলত ম্যাডাম এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ঈদের দিন তিনি বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এজন্য আমরা একটি খোলা-মেলা বৃহৎ পরিসরের ভেন্যু খুজঁছি।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বলেন, ম্যাডাম পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে খুব খুশি। অনেক দিন প্রিয় নেত্রীকে এতটা আনন্দিত দেখিনি।

tarak-rahman-400x220
যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, তারেক রহমান যে নিজে ড্রাইভ করেই বেগম জিয়াকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাবেন এটা কেউই জানতো না। এই অভুতপুর্ব দৃশ্য দেখে দলের নেতাকর্মীরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বেগম জিয়া দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত থাকলেও এয়ারর্পোটের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে তাকে স্বাগত জানাতে আসা নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হোটেল সোফিটলের ড্রাইভওয়েতে। এছাড়া আগে থেকে সেখানে অপেক্ষমান বিক্ষোভ দেখাতে আসা দেশের সরকারি দলের নেতারা খালেদা জিয়ার দেখাই পাননি। আমাদের সময়.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.