মাঠে দুর্দান্ত ব্রাজিল, ইনজুরি টাইমে ২ গোল
সেন্ট পিটার্সবার্গে নীল রংয়ের অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলতে নামে ব্রাজিল৷ সাম্বার তালে খেলা যে ব্রাজিলকে সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিলেন, আজ মাঠে সেলেসাওদের দেখা গেল তেমন রূপে৷
খেলা শেষের পরিসংখ্যান বলছে ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময়ই বল ছিল ব্রাজিলের দখলে৷ গোলপোস্টে কোস্টারিকার মাত্র ৩টি শটের বিপরীতে ব্রাজিলের শট ছিল ২২টি৷
প্রথম ২০ মিনিট বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিল কোস্টারিকা৷ বল পায়ে পেতে সমস্যা হচ্ছিল ব্রাজিলিয়ানদের৷ শক্ত ডিফেন্সের কারণে বল নিয়ে ডি বক্সেই ঢুকতে পারছিল না ব্রাজিল৷
বিশেষ করে নেইমারকে রাখা হয় কড়া মার্কিংয়ে৷ ২০ মিনিটেই ৩ বার ফাউলের শিকার হন এই স্ট্রাইকার৷ তবে ২০ মিনিট পর দেখা যায় অন্য ব্রাজিলকে৷ হঠাৎ করেই নিজেদের খুঁজে পেতে থাকেন নেইমাররা৷
২৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুস দুর্দান্ত একটি গোল দিয়ে বসলেও সাইড রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে তা বাতিল হয়৷
কৌটিনহো, মার্সেলো, উইলিয়ানরা প্রায় প্রতি মিনিটেই সাজাতে থাকেন একের পর এক আক্রমণ৷ প্রথম দিকের শক্ত ডিফেন্সেও সহজেই ফাঁকফোকর বের করতে থাকেন সেলেসাওরা৷
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই উইলিয়ানকে বসিয়ে মাঠে নামানো হয় দিয়েগো কস্তাকে৷ এরপর ব্রাজিলের আক্রমণ আরো ধারালো হয়ে ওঠে৷
উজ্জ্বীবিত ব্রাজিলের মুহুর্মুহু আক্রমণে এক সময় কোস্টারিকার ১১ জন খেলোয়াড়কেই দেখা যায় ডি বক্সের ভেতরে৷
৪৮ মিনিটে জেসুসের একটি দুর্দান্ত হেড গোলবারে লেগে ফেরত আসে৷ দ্রুতই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবার জোরালো শট করলেও কর্নার দিয়ে তা ঠেকান ডিফেন্ডার৷
৫৫ মিনিটে নেইমারের জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোরকমে ঠেকান গোলকিপার কেইলর নাভাস৷
৭১ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে নেইমারের দারুণ শট অল্পের জন্য মিস করে গোলপোস্ট৷
৭৭ মিনিটে নেইমারকে ডি বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল৷ কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি৷
৯০ মিনিট পর ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেয়া হয়৷ অতিরিক্ত সেই সময় কাজে লাগিয়ে দুই গোল করে সেলেসাওরা৷
৯২ মিনিটে গোলরক্ষক নাভাসের পায়ের নীচ দিয়ে জালে বল জড়ান কৌটিনহো৷ এতটাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ব্রাজিল দল যে, গোল উদযাপন করার সময় দৌঁড় দিতে গিয়ে মাঠে পড়ে যান কোচ তিতে৷ সৃষ্টি হয় হাস্যরসের৷ পরে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়েরা তাঁকে হাতে ধরে টেনে তোলেন৷
এরপর থেকেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কোস্টারিকার রক্ষণভাগ৷ হাতে নেই সময়৷ তার মধ্যে একদিকে গোল শোধের তাড়া, অন্যদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ৷ অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর ৯৭ মিনিটে আবার কাউন্টার অ্যাটাক৷ ডগলাস কস্তার অসাধারণ পাসে বল পেয়ে যান নেইমার, স্কোর পরিণত হয় ২-০ তে৷ ডয়চে ভেলে।