মায়ের গুণই পায় তার সন্তান

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তানের মাঝে বুদ্ধিমত্তা আসলে আসে মায়ের দিক থেকেই। তাই সময় এসেছে, নারীকে কম বুদ্ধসম্পন্ন ভাবাসহ নানান ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসইয়ে। আপনার সন্তান বুদ্ধিমান? কারণ তার মা খুবই বুদ্ধিমান! তাই বিজ্ঞান বলছে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের উচিৎ তাদের মাকে ধন্যবাদ জানানো। আপনি যা পেয়েছেন তা এই মায়ের সন্তান বলেই পেয়েছেন, দৈবিক কোন উপায়ে নয় বা আপনার নিজস্ব অর্জনও নয় এটি।
ধারণা করা হয়, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বুদ্ধিমত্তা বংশানুগতিক। আর এই বুদ্ধিমত্তাকে পাওয়া যায় মানুষের এক্স ক্রমোজমে। গবেষনায় আরও দেখা গেছে যেসব শিশুরা মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার সময় মাতৃজিন বেশীমাত্রায় গ্রহণ করে তারা জন্মের সময় ছোট শরীর এবং অপেক্ষাকৃত বড় মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। যেসব শিশু পিতৃজিন বেশী পায় তাদের শরীর তুলনামূলক বড় হয় এবং মাথা ছোট হয়।
একটি ভ্রুণ বেড়ে ওঠার সময় পিতৃজিন আছে এমন কোষগুলো তার বেঁচে থাকা নিশ্চিত করে।এটি মস্তিষ্কের রাগ, ক্ষুদা, যৌণতা এইসব অনুভুতির লিম্বিক সিস্টেমকে
গড়ে তোলে। কিন্তু বাবার কোষগুলো শিশুর সেরেব্রাল কর্টেক্স এ পাওয়া যায় নি। এখানেই গড়ে ওঠে বুদ্ধি, কার্যকারণ বিশ্লেশণ ক্ষমতা, পরিকল্পনা করার দক্ষতা ইত্যাদি। এখানে রয়েছে মাতৃজিন।
একটি শিশু বড় হয়ে এই পৃথিবীর অনেক কঠিন অবস্থার সাথে মোকাবেলা করে নিজের পায়ে দাঁড়ায়। তার এই লড়বার ক্ষমতা, দক্ষতা, যোগ্যতায় মায়ের ভূমিকা অনেক। আর এটি এখন শুধু আবেগের কথা নয় বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত।
 
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.