মা-মেয়ে অসুস্থ, কাঠগড়ায় বায়ু দূষণ!
অবিশ্বাস্য একটি মামলায় ফ্রান্সের এক মা ও মেয়ে তাদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়ী করেছে বায়ু দূষণকে৷ প্যারিসের একটি আদালতে বর্তমানে চলছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া মামলাটি৷
বাতাসের মানের অবনতির কারণে বর্তমান বিশ্বে বাড়ছে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ৷ কিন্তু দায়ী করবেন কাকে?
সম্প্রতি বায়ু দূষণজনিত অসুস্থতার জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা প্যারিসের আদালতে উঠেছে৷ মামলাটি করেছেন ফ্রান্সের এক মা ও মেয়ে৷ বায়ু দূষণকে ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে তাঁদের নিশ্বাসের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ৷
৫২ বছর বয়েসি মা বর্তমানে অসুস্থতার ফলে কর্মবিরতিতে৷ তার ১৬ বছর বয়েসি মেয়ে ভুগছে হাঁপানিতে৷ ডাক্তারের পরামর্শে প্যারিস ছেড়ে অর্লিন্স শহরে থাকতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ ফলে, চিকিৎসা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে রাষ্ট্রের কাছে ১৬০,০০০ ইউরো দাবি করেছেন৷
এমন মামলা অবশ্য আগেও হয়েছে৷ রেস্পায়ার নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ফ্রান্সের প্রায় ৫০জনকে বেশ কিছুদিন ধরে এমন মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান করছে, যাতে তাঁরা রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে চাপে রাখতে পারেন ও নীতিগত বদল আনতে পারেন৷
কিন্তু আদালতে শুনানি পর্যায়ে পৌঁছানো এটিই প্রথম মামলা৷
বায়ু দূষণের ফলে কমিশনের চাপে ফ্রান্স
পাবলিক হেলথ ফ্রান্স এজেন্সি’র মতে, প্রতি বছরে ফ্রান্সে আনুমানিক ৪৮,০০০জন বায়ু দূষণজনিত রোগের কারণে মারা যান৷
সমস্যার মোকাবিলা করতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাড়ন্ত শীত ও স্মগের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের পক্ষে বসানো হয় যানবাহন চলাচলের ওপর কড়াকড়ি৷
এর আগে, বায়ু দূষণ প্রতিরোধে ১৯৯৭, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল৷
২০১৮ সালের মে মাসে ইউরোপিয়ান কমিশন ফ্রান্সসহ পাঁচটি দেশের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসে মামলা করে৷
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কমিশনের পক্ষে একের পর এক সতর্কবার্তা পাঠানোর পরেও বাতাসের মানোন্নয়ন বিষয়ে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ছিল নিষ্ক্রিয়৷ এরপরই কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় মামলা করার৷
উল্লেখ্য, মা-মেয়ের এই মামলার মতো আরো তিনটি মামলার শুনানিপর্ব শুরু হবে চলতি বছরের জুন মাসে৷
ডয়চে ভেলে।