মুক্তি পাচ্ছে নদীভাঙনের ছবি ‘লালচর’

মাজহার বাবু:

মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘লালচর’। নদীভাঙনের শিকার একটি গ্রাম এবং ওই নদীতে নতুন চর জেগে ওঠাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্রটির কাহিনী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নাদের খান। অভিনেতা নাদের খান এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন।

অনেকেই বলেন, নাটক থেকে এসে চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে সেটিও নাটক হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ‘লালচর’ কতটা চলচ্চিত্র হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ নাদের খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসলে সরকার ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সহযোগিতা করে থাকে এই অনুদানের মাধ্যমে। কিন্তু আপনি যদি এই বাজেটে ছবি বানাতে চান, তাহলে তো ছবি ভালো নাও হতে পারে। একটা ছবির বাজেট কত হবে, তা নির্ভর করে ছবির গল্পের ওপর। কেউ ৪০ লাখ টাকা পেল মানে এই নয় যে সেই টাকা দিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবে। গল্পের প্রয়োজনে দুই কোটি টাকাও তো লাগতে পারে। সরকার আপনাকে এই চলচ্চিত্র বানাতে টাকা দিয়েছে, এখন বাকি টাকা আপনি কীভাবে জোগাড় করবেন, সেটা আপনার বিষয়। যদি কম টাকায় আপনি ছবিটি শেষ করতে চান, তাহলে ছবি দেখলে টেলিফিল্মই মনে হবে।’

কেন টেলিফিল্ম মনে হবে, সেটার আরো কারণ তুলে ধরেন নাদের খান। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র বানাতে গেলে একটি দৃশ্যকে সত্য মনে হতে হবে। নিখুঁতভাবে তুলে আনতে গেলে টাকা খরচ করতে হবে, সঠিক শিল্পী নির্বাচন করতে হবে। টেলিফিল্ম মনে হওয়ার আরেকটি কারণ টিভি মিডিয়ার অনেকেই আছেন, যাঁরা নাটক নিয়ে কাজ করেন, অনুদানের টাকা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যাত্রা, মঞ্চনাটক, টিভি নাটক, টেলিছবি আর চলচ্চিত্র, তাদের প্রত্যেকের আলাদা ভাষা আছে। কেউ ভালো নাটক বানাতে পারলেই সে ভালো ছবি বানাতে পারবে, এটা ঠিক নয়। বরং যে ভালো নাটক বানায়, সে ছবি বানাতে গেলে সেটা বড় নাটক হয়ে যায়।’

 

নাদের খান মনে করেন, চলচ্চিত্র বানাতে হলে চলচ্চিত্রের ভাষাটা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, ‘যে যত ভালো নাটক, টেলিফিল্ম বানাক, তাকে চলচ্চিত্র নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। তার পর যদি কেউ চলচ্চিত্র বানাতে আসে আমার মনে হয়, ভালো কিছুই হবে। ছবিটি আমার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভিবি প্রডাকশনের ব্যানারে হচ্ছে, এটি নির্মাণের জন্য আমি সরকারি অনুদান পেয়েছি। বাকি টাকা জাজ মাল্টিমিডিয়া দিয়েছে। শুধু অনুদানের টাকায় আমি ছবিটি তৈরি করিনি, কারণ আমি একটি পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র বানাতে চেয়েছি। আশা করি, দর্শকের ছবিটি ভালো লাগবে।’

‘লালচর’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, আনিসুর রহমান মিলন, মোহনা মিম, মাসুম আজিজ, ঝুনা চৌধুরী, কাজী শিলা ও সাবিহা জামান। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের খান। ছবির জন্য গান লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জুয়েল মাহমুদ ও হারুন অর রশিদ। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর, ডলি সায়ন্তনী ও নাকিব রিদ চৌধুরী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ফরিদ আহমেদ। ntvonline.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.