মেসির পেনাল্টি মিস, আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল আইসল্যান্ড
১-১ সমতায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হলো আর্জেন্টিনাকে। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলের সহজ সুযোগ মিস করলেন মেসি। সেটাই কাল হলো আর্জেন্টিনার। এরপর বার বার আক্রমণ শানিয়েও আইসল্যান্ডের রক্ষণব্যুহ ভেদ করতে পারেন নি সাম্পাওলি শিষ্যরা। প্রথমার্ধে আগুয়েরোর দুর্দান্ত গোলে ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৪ মিনিট পরই আইসল্যান্ডের ফিনবোগাসোন গোল করে সমতা আনেন।
মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা শুরুটা হয়েছিল চমক জাগানিয়া। সূচণালগ্নেই ছন্দে দেখা যায় তাদের। সাফল্য আসতেও বিলম্ব হয়নি। ১৯ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন সার্জিও আগুয়েরো।
তবে আর্জেন্টাইনদের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সমতায় ফেরে আইসল্যান্ড। ২৪ মিনিটে বল জালে জড়ান ফিনবোগাসন।
পরে অবশ্য দাপটটা দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। উঠেছে একের পর এক আক্রমণে। তবে গোলমুখ খুলতে পারেননি মেসিরা। ফলে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকার পরও ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় দুর্ভাগাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। পেনাল্টি মিস করেন তিনি। ৬৪ মিনিটে আইসল্যান্ডের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ম্যাগনুসনের ফাউলের শিকার হন আগুয়েরো। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন ছোট ম্যাজিসিয়ান। তার বাঁ পায়ে নেয়া জোরালো শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হালডারসন।
এ নিয়ে দেশের হয়ে তৃতীয়বার পেনাল্টি মিস করলেন মেসি। এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হন এ গোলমেশিন।
পরে গোল পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন মেসিরা। কিন্তু স্বার্থ হাসিল হয়নি আর। বাকি সময়েও গোলবঞ্চিত থাকতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত পুচকে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যদের।
অবশ্য এজন্য কৃতিত্ব দিতে হবে আইসল্যান্ড কোচ হেইমির হালগ্রিমসনকে। দারুণ কৌশল এঁটেছেন তিনি। সর্বোপরি সাধুবাদ পাবেন মাত্র ৩ লাখ মানুষের প্রতিনিধিরাও (খেলোয়াড়রা)। গুরুর দেখানো পথ অনুসরণ করে যে ডি মারিয়া, মাশ্চোরানোদের বোতলবন্দি করে রেখেছেন তারা।