মেহেদি রাঙা হলো হাত
যে কোন উতসবে মেহেদিরাঙা হাত আনন্দ বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। আর তাইতো তরুনীরা ব্যস্ত হয়ে গেছে রঙিন নকশায় হাত সাজাতে। এর মধ্যে কিছু নকশা বেশ জনপ্রিয়। যেমন বৃত্তাকার নকশা।
এবার ঈদে মেহেদির ট্রেন্ডে রয়েছে ফিউশন। কোণাকুণি, জ্যামিতিক ও ফুলের নকশা এবং চেক নকশায় মেহেদি লাগানো হচ্ছে পার্লারগুলোতে। চাইলে বাড়িতে বসেও আপনি এমন মেহেদির ডিজাইন করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন মেহেদি লাগানোর দক্ষতা ও সৃজনশীলতা।
হাতের তালুতে সূর্যের অনুরূপ বৃত্ত এবং আঙুলের অর্ধেকজুড়ে পুরু করে লাগানো মেহেদির এই নকশা বেশ জনপ্রিয়। তালুর বৃত্তকে ঘিরেও আঁকা হয় বিভিন্ন ধরনের নকশা। এছাড়া কলকার নকশা, অর্ধবৃত্তাকার নকশা, ফুলের নকশা, লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা, ক্যালিওগ্রাফি ইত্যাদি নকশাও আঁকা হয় মেহেদি দিয়ে।
হাতের আঙুলে মেহেদি লাগালে নখে লাগান উজ্জ্বল রঙের নেইলপলিশ। এতে মেহেদিরাঙা হাত দেখাবে আরো সুন্দর!
খেয়াল করতে হবে
মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ক্রিম, লোশন বা তেল লাগাবেন না।
মেহেদি লাগানোর আগেই হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর হাত শুকনো করে মুছে নিয়ে মেহেদি লাগান।
মেহেদি শুকিয়ে যাবার পর তুলে ফেলুন।
তুলে ফেলার পর পরই হাত ধোবেন না। মেহেদি তুলে ফেলার পর হাতে লেবুর রস মেখে নিতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, সাবান লাগাবেন না। হাত মুছে হাতে সামান্য নারকেল তেল মেখে নিন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মেহেদির রং অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে। –