যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চীনা সেনাবাহিনীর পাইলটরা এসব মার্কিন স্থাপনায় বিমান হামলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছে বলে ধারণা করছে পেন্টাগন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছর ধরে চীন দূরপাল্লার বোমা হামলার সক্ষমতা অঞ্চলের সীমা বাড়িয়ে চলেছে, সংকটপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলে অভিযানের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘান হানতে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।

‘দ্য অ্যানুয়্যাল রিপোর্ট অন মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না’ নামের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আগের বছরের তুলনায় চীন সামরিক ক্ষেত্রে কতটা উন্নতি করল, এ প্রতিবেদনে সেটারই উল্লেখ থাকে। প্রতি বছর মার্কিন কংগ্রেসে এ প্রতিবেদনটি জমা দেয় কংগ্রেস।

এ বছরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দূরপাল্লার বোমারু বিমানগুলোকে পারমাণবিক সক্ষমতায় উন্নীত করছে চীন। ফলে এই প্রথমবারের মতো চীন স্থল, জল ও আকাশপথে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে।

চীনা সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোনো রাখঢাক রাখছেন না। তিনি সরাসরি বলেছেন, চীনের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন চান তিনি।

১৬ আগস্ট, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানকে একীভূত করতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতে পারে চীন।

এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন প্রতিরক্ষা নীতি প্রকাশ করে, যেখানে চীনকে মোকাবিলায় ‘দীর্ঘ কৌশলী লক্ষ্যমাত্রা’ নির্ধারণের কথা জানিয়েছিল দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র তখন স্বীকার করেছে, চীনই হতে যাচ্ছে সামরিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিবাদ বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা মানতে নারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.