রক্তজবা
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae
জগৎ/রাজ্য: Plantae
(অবিন্যাসিত): Angiosperms
(অবিন্যাসিত): Eudicots
(অবিন্যাসিত): Rosids
বর্গ: Malvales
পরিবার: Malvaceae
গণ: Hibiscus
প্রজাতি: H. rosa-sinensis
বৈজ্ঞানিক নাম: Hibiscus rosa-sinensis.
আমাদের দেশের অনেকেই বাড়ির আঙিনা কিংবা বাসাবাড়ির ছাদের টবে নানা জাতের ফুলগাছ লাগিয়ে থাকে। এসব গাছের মধ্যে জবা একটি। দেশের সর্বত্রই এই ফুলের চাষ হয়। এই ফুলের বাংলা নামরক্তজবা, জবা, জবা কুসুম। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে China Rose, Chinese hibiscus উল্লেখযোগ্য। চিন দেশ এর উত প ত্তিস্থান। গাছ টি ২-৪ মি. উঁচু, কাণ্ড খস খ সে, পাতা মসৃণ ও চকচকে, ফুল ১০-১৫ সে. মি. চওড়া। ফুল এক ক অথবা দ্বৈত। গাছটি কষ্টসহিষ্ণু, অল্প যত্নে জন্মে। শাখা কলম দ্বারা এর বংশ বিস্তার হয়। প্রায় সারা বছরই গাছে ফুল ফোটে। বর্তমানে অনেক ধরনের হাইব্রীড জবার অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মধ্যে বর্ণবৈচিত্র প্রচুর। দেখতে সুদৃশ্য হওয়াতে এদেরকে আমরা সাধারণত বাগানে শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসাবে লালন করে থাকি।
জবা ফুল দেখতে খুব সুন্দর হলেও এর ঔষধি গুণ কিন্তু কম নয়। চোখ উঠলে, মাথায় টাক পড়লে কিংবা হাতের তালু থেকে চামড়া ওঠা শুরু হলে জবা ফুল বেটে রস লাগালে দ্রুত নিরাময় হয়। ডায়াবেটিসের রোগী নন, অথচ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পরপরই ঘন ঘন যাদের মূত্র ত্যাগ করতে হয়, তারা জবা গাছের ছালের রস পানিসহ নিয়মিত কয়েকদিন এক চা চামচ পরিমাণ করে খেলে উপকার পাবেন।
উল্লেখ্য ঝুমকো জবা, লংকা জবাসহ জবার আরো বেশ কিছু প্রজাতি বাংলাদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়।