রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বছর ঘুরে আবারো এলো খুশির ঈদ। শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।
ঈদ প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে নিয়ে আসে নির্মল আনন্দ। ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ ও খুশির উৎসব। ঈদ মানেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে হারিয়ে যাওয়ার দিন। ঈদ মানে সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে একে অপরকে নতুন করে আবদ্ধ করে নেয়ার দিন।
ঈদ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এদিন আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করে। সাক্ষাৎ, কোলাকুলি, কোশল বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে এ দিনটিতে ছোট-বড়, ধনী–দরিদ্র, আমির-ফকির সব ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরের মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়ে এক কাতারে সামিল হয়।
এ আনন্দ পরকালীন জীবনের জন্য শান্তি ও মুক্তি লাভের এক অনন্য আধ্যাত্মিক অনুভূতির। তাই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের রমজান শেষে শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখামাত্রই খুশির জোয়ার বয়ে যায় প্রতিটি রোজাদারের দেহ মনে। ঈদুল ফিতর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব। দিনটি মুসলমানদের জন্য বরকতময়ও।
ঈদুল ফিতরে সাদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজের আগেই তা আদায় করা উত্তম। কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে না পারলে পরে আদায় করে দিতে হবে। ধনীদের সাথে সাথে গরিব-মিসকিনরাও যাতে সমানভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে জন্যই এ সাদকাতুল ফিতরের ব্যবস্থা।
ঈদের দিন সকালে সবাই ঈদগাহে সমবেত হন। ধনী-গরিব সবাই একই কাতারে দাঁড়িয়ে আদায় করেন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ। এরপর সবাই একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন, কুশলবিনিময় করেন। একে অপরের বাড়িতে গিয়ে, সাক্ষাৎ করে ঈদ কুশলবিনিময় করেন, আপ্যায়িত হন।
এদিন খাবার-দাবারে থাকে বিশেষ আয়োজন। নানা রকম সেমাইয়ের সঙ্গে থাকে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও-কোরমাসহ সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন থেকে বাদ যাবেন না রোগী, বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও।
হাসপাতাল, এতিমখানা ও বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে বিশেষ খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা।