লিটন দাসকে আইসিসির অভিনন্দন
আবারও সঙ্গী স্বপ্ন ভাঙার বেদনা। এশিয়া কাপ যেন বাংলাদেশকে দুঃখের সাগরে ভাসানোর চিত্রনাট্যটাকে একদম প্রতিষ্ঠিত করার মিশনে নেমেছে! শুক্রবার আরেকটি ফাইনালে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরে ঠিক এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকে।
এই হারা ম্যাচেও বীরত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে হয়েছে ৫০ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত। শুধু কী তাই? বোলিংয়ের আগে লিটন দাসের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের কথাও বলতে হয় আলাদা করেই। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা। ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচের পর থেকেই ছিটকে পড়েন বাংলাদেশের হার্ড-হিটার ওপেনার তামিম ইকবাল। সেই তামিমের অভাবটা যেন পূরণ করতে পারছিলেন না কেউ।
ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই চমক উপহার দেয় বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গী করে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। ব্যক্তিগত ৩২ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। কিন্তু বাংলাদেশের এক পাশ আগলে রাখার দায়িত্ব নেন লিটন কুমার দাস। মিরাজকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও এদিন তুলে নেন লিটন।
ব্যক্তিগত ১২১ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে ধোনির হাতে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন লিটন দাস। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আম্পায়ারের এই আউটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাংলাদেশের সমর্থকরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন আইসিসির ওপর। তবে আইসিসি কোনো অভিমান করেনি তাতে। বরং ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া লিটন দাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে সংগঠনটি।
ম্যাচ শেষের অল্প কিছুক্ষণ পরই নিজেদের অফিশিয়াল পেজে এক টুইট বার্তায় আইসিসি লেখে, ‘সে (লিটন) হতে পারে পরাজিত দলের খেলোয়াড়। কিন্তু তার করা ১২১ রান তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করেছে। লিটন দাসকে অভিনন্দন!’ এ সময় শতরানের পর লিটন দাসের উদযাপনের একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করে আইসিসি। প্রিয়.কম