শিশুদের জন্য ডিমই সেরা নাশতা
শিশুদের সকালের নাশতার জন্য ডিমই সেরা। দীর্ঘ সময় ক্ষুধা থেকে মুক্ত থাকতে এর চেয়ে ভালো নাশতা আর নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর দ্য ইনডিপেনডেন্ট।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া স্কুল অব নার্সিংয়ের একদল গবেষক এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োবিহ্যাভিয়ারিয়াল হেলথ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক তানজা ক্রাল গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দেন। ইটিং বিহ্যাভিয়ারস নামক গবেষণা পত্রিকায় গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সকালের নাশতায় জাউয়ের বদলে ডিম শিশুদের পেট বেশিক্ষণ ভরিয়ে রাখে। এতে শিশুরা বেশ শক্তিশালীও অনুভব করে নিজেকে।
গবেষণায় আট থেকে ১০ বছর বয়সী ৪০টি শিশুর খাদ্যতালিকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এদের সবাইকে প্রতিদিন সকালে নাশতায় ৩৫০ ক্যালরির খাবার খেতে দেয়া হয়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম ও বিভিন্ন শস্য থেকে বানানো জাউ। এর পর দুপুরের খাবারের আগ পর্যন্ত তাদের খেলতে সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় তাদের অভিভাবকদের বলা হয় শিশুদের খাদ্যতালিকার একটি হিসাব রাখতে। সকাল থেকেই তাদের প্রশ্ন করা হয়, তারা কতটা ক্ষুধা বোধ করছে।
এতে দেখা যায়, যেসব শিশু সকালে ডিম খেয়েছে, দুপুর পর্যন্ত তাদের শক্তির ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় হয়েছে। এটি একটি শিশুর সারা দিনের ক্যালরি চাহিদার ৪ শতাংশ।
গবেষকদের মতে, দৈনিক নির্ধারিত ক্যালরি চাহিদার অধিক গ্রহণ করলে শিশুরা স্থূলতায় আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন শস্যদানা থেকে তৈরি জাউ সকালের নাশতায় নিয়মিত খেলে তাও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে ক্রাল বলেন, ডিম যে সেরা নাশতা এ তথ্যে আমি বিস্মিত হইনি। আমরা আশা করেছিলাম, উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ নাশতা আর দুপুরে কম খাওয়ার মাধ্যমে বেশি ভরপেট অনুভূত হবে। কিন্তু এ রকম কিছু ঘটেনি। শিশুরা পর্যাপ্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারে বেশি ভরপেট অনুভব করে, এমন কিছু নির্দিষ্ট করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত যেসব শিশুর স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে জরুরি।