শীতকালীন সচেতনতা
শীতকালে দেহে রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই সুস্থ থাকতে সবার মেনে চলা উচিত কিছু ভালো অভ্যাস। এ রকম কিছু অভ্যাস জেনে নিন —
বিছানা ছাড়ুন ধীরে
শীতের রাত গরমের সময়ের চেয়ে একটু বেশিই দীর্ঘ হয়। এই দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকার ফলে মাংসপেশির কর্মক্ষমতা কিছুটা মন্থর হয়। পেশিগুলো কর্মক্ষম হতেও একটু সময় লাগে। তাই ঘুম ভাঙার পর বিছানা থেকে ধড়ফড়িয়ে লাফ দিয়ে উঠলে বরং মাংসপেশিতে টান পড়া বা খিঁচ ধরার আশঙ্কা থাকে। তাই ধীরে ধীরে হাত-পা নাড়ান এবং বিছানা ছাড়ুন।
চোখ পরিষ্কার রাখুন
শীতকালে অনেকের চোখে পিঁচুটির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ থেকে চোখে ইনফেকশনসহ হতে পারে নানা সমস্যা। তাই দিনে অন্তত দুই থেকে তিন বার পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। পানির ঝাপটা দিতে পারেন ১০-১৫ বার। এতে চোখের পিঁচুটি ও অন্যান্য ময়লা দূর হয়।
দাঁত পরিষ্কার করুন
শীতকালে দাঁত ব্যথা, দাঁত শিরশির করা, মুখের দুর্গন্ধ ইত্যাদি সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বিশেষ করে জ্বর এলে বা সর্দির কারণে নিঃশ্বাসেও দেখা দেয় দুর্গন্ধ। এ জন্য রাতে খাওয়ার পর ও সকালে খাওয়ার পর নিয়মিত ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ, ফ্লসিং ও জিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত।
হালকা ব্যায়াম করুন
সারা বছরই সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, শীতকালে অস্থিসন্ধির ব্যথা বা জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা রাখে হালকা ব্যায়াম। এতে পেশি, টেনডন ও লিগামেন্ট নমনীয় হয়, জোড়া ব্যথামুক্ত থাকে।
গরম পানি পান করুন
ঘুমানোর আগে গরম বা উষ্ণ পানি পান করতে পারেন। এতে শরীরে মেটাবলিজমের হার বাড়ার পাশাপাশি ঠাণ্ডাজনিত সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমা, সাইনোসাইটিসের ব্যথা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করবে।