শুভ জন্মদিন রফিকুল হক দাদুভাই
আজ ৮ জানুয়ারী, বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, শিশুসংগঠক ও প্রবীণ সাংবাদিক রফিকুল হক দাদুভাইয়ের আজ ৮০তম জন্মদিন। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার দাদুভাই নামকরণ। ছয় দশক ধরে তিনি লিখে চলেছেন ছোটদের এবং বড়দের জন্য।
রফিকুল হক দাদুভাই একজন স্বনামধন্য গীতিকার ও নাট্যকার। টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে তার লেখা অসংখ্য বড়দের ও ছোটদের নাটক এবং শিশুতোষ গান দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। মরমী সঙ্গীতশিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে তার লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রিয় গান।
দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক।
বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দেশ ও বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। শিশুসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ফেলোশিপ লাভ করেন। গত বছর তাকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এক নজরে দাদু ভাই :
রফিকুল হকের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৩৭। পিতা মরহুম ইয়াছিন উদ্দিন আহম্মদ, মাতা মরহুমা রহিমা খাতুন। পৈত্রিক নিবাস রংপুর শহরের কামালকাচনায়। আদি নিবাস ভরতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার শহরে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা হামিদা হকের মৃত্যুর পর তিনি আবার বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে জ্যোতি হক শিক্ষার্থী অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় নিহত হন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উজ্জীবিত এ কলমসৈনিক স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে সক্রিয় ও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ছাড়া লেখার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। রফিকুল হক দাদুভাই একজন স্বনামধন্য গীতিকার ও নাট্যকার। টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে তার লেখা অসংখ্য বড়দের ও ছোটদের নাটক এবং শিশুতোষ গান দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
মরমী সঙ্গীত শিল্পী আবদুল আলীমের কণ্ঠে তার লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের প্রিয় গান। দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। অধুনালুপ্ত দৈনিক ‘পূর্বদেশ’র ছোটদের পাতা ‘চাঁদের হাট’-এর সম্পাদক দাদুভাই এ সময়ের অনেক খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীর প্রতিষ্ঠার ভিত তৈরি করেছেন। উপমহাদেশে শিশু-কিশোরদের প্রথম সংবাদপত্র ‘কিশোর বাংলা’ তার সম্পাদনায় ঢাকা থেকে দীর্ঘদিন প্রকাশিত হয়।
তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক। বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দেশ ও বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। শিশুসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ফেলোশিপ লাভ করেন।
গত বছর তাকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চাঁদের হাটের বিভিন্ন শাখা, সাহিত্যানুরাগী ও গুণগ্রাহীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাকজমকভাবে দাদুভাইয়ের ৮০তম জন্মদিনের উৎসব পালন করছে।
ঢাকায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী তিন পর্বে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
এসব পর্বে যথাক্রমে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উৎসবের উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সূত্র: ঢাকানিউজ২৪ডট কম এবং ইন্টারনেট।
মজার পড়া ১০০ ছড়া
ছড়ায় ছড়ায় আলোকিত এখন বাংলা শিশুসাহিত্যভুবন। ‘ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে…’ এ-জাতীয় ছড়া কার না ভালো লাগে! ছড়া পড়তে ভালোবাসে ছোট-বড় সবাই। শিশুদের পাঠের হাতেখড়ি এই ছড়া দিয়ে। আধুনিক ছড়াসাহিত্যের পথিকৃৎ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র-মজুমদার। তারপর কালের বিবর্তনের সঙ্গে ছড়াসাহিত্য সৃষ্টিশীলতার পথ বেয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশের ছড়ায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় ছড়া ছিল শিশুদের ঘুমপাড়ানির উপকরণ, তা এখন ঘুমজাগানিয়া স্লোগানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এ দেশে যারা ছড়াসাহিত্যকে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্য থেকেই ফয়েজ আহ্মদ, সুকুমার বড়ুয়া, লুৎফর রহমান রিটন, আমীরুল ইসলাম, ফারুক নওয়াজ, রহীম শাহ, আলম তালুকদার এবং রফিকুল হক দাদুভাইÑএই আটজন ছড়াশিল্পীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা আটটি বই প্রকাশ করা হলো মজার পড়া ১০০ ছড়া শিরোনামে। এঁদের সবার ছড়া নির্বাচন করা হয়েছে মূলত ছোট্টমণিদের কথা মাথায় রেখেই। দাদুভাই ছড়া বানান মুখে ছড়া কেটে। শব্দ, ছন্দ, বিষয়বস্তু ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্যে এবং প্রকাশভঙ্গির আন্তরিকতার ক্ষেত্রে তাঁর উপমা তিনি নিজেই। তাঁর ছড়ায় বাংলাদেশের সমকালীন সমাজচিত্র চমৎকারভাবে উঠে এসেছে।
Authors Details
Rafiqul Huq Dadu Bhai / রফিকুল হক দাদুভাই
আমাদের দাদুভাই। সমকালীন বাংলা ছড়া সাহিত্যের জীবন্ত কিংবদন্তি প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও শিশুসংগঠক রফিকুল হক। তিনি ‘দাদুভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি স্বনামধন্য গীতিকার ও নাট্যকারও। টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে তাঁর লেখা অসংখ্য বড়দের নাটক ও শিশুতোষ গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আবদুল আলীমের কণ্ঠে তাঁর লেখা গান ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ আজও সাধারণ মানুষের প্রিয় গান। স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘নতুন বাড়ি’র রচয়িতা। বিটিভিতে প্রচারিত ছোটদের প্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘অঙ্কুর’-এর রচয়িতা ও পরিচালক। রফিকুল হকের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৩৭। পিতা মরহুম ইয়াছিন উদ্দিন আহম্মদ, মাতা মরহুমা রহিমা খাতুন। পৈতৃক নিবাস রংপুর শহরের কামালকাচনায়। দাদুভাই দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। উপমহাদেশে শিশু-কিশোরদের প্রথম সংবাদপত্র কিশোর বাংলা তাঁর সম্পাদনায় ঢাকা থেকে দীর্ঘদিন প্রকাশিত হয়। এখন তিনি দৈনিক যুগান্তর-এর ফিচার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। বাংলা শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক ২০০৫ সালে ভারতে বিহারের রাজধানী পাটনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ‘স্ক্রোল অব অনার’, ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য সম্মেলনে বিশেষ সম্মাননা, ১৪০৫ বঙ্গাব্দে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার, সম্মাননা ও ফেলোশিপে ভূষিত হন। রফিকুল হকের ছড়া গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : পান্তাভাতে ঘি, বর্গি এলো দেশে, নেবুর পাতা করমচা, ঢামেরিক, আমপাতা জোড়া জোড়া, সমকালীন ছড়া ইত্যাদি। নাটক বই বই হই চই ও রূপকথার গল্প প্রাচীন বাংলার রূপকথা বিশেষভাবে আলোচিত।
সূত্র: Adorn Books.
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রফিকুল হক
জন্ম ১৯৩৭
রংপুর
জাতীয়তা বাংলাদেশী
বংশোদ্ভূত বাঙালি
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
যে জন্য পরিচিত ছড়াকার
ধর্ম মুসলিম
রফিকুল হক বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছড়াকার। তিনি শিশু সংগঠন চাদেঁর হাটের প্রতিষ্ঠাতা।[১] তিনি দাদু ভাই নামে সমধিক পরিচিত।[২] পেশাগতভাবে তিনি একজন সাংবাদিক।[৩]
পরিচ্ছেদসমূহ
১ জন্ম,শিক্ষা পরিবার
২ ছড়া
৩ সাংবাদিকতা
৩.১ কিশোর বাংলার সম্পাদনা
৪ চাঁদের হাট
৫ প্রকাশনা
৬ পুরস্কার
৭ তথ্যসূত্র
৮ বহিঃসংযোগ
জন্ম,শিক্ষা পরিবার
তাঁর জন্ম ১৯৩৭ খৃস্টাব্দে রংপুরে। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৬৩ খৃস্টাব্দে বি, এ পাস করেন। [৪]
ছড়া
তাঁর ছন্দজ্ঞান অসাধারণ, বিষয়বৈচিত্র্য তুলনারহিত এবং শব্দের কারিগরি অভিনব ও দৃষ্টান্তমূলক। তাঁর ছড়া সমাজ সচেতন। ১২ নভেম্বর ১৯৭০ খৃস্টাব্দে প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে মাত্র এক রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে সমুদ্রের উপকূলবর্তী স্থানের কয়েক লক্ষ মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ঘরবাড়ি, গবাদি পশু কিছুই রক্ষা পায়নি। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় তিনি ছড়া লিখলেন,
“ ছেলে ঘুমলো বুড়ো ঘুমলো ভোলাদ্বীপের চরে
জেগে থাকা মানুষগুলো মাতম শুধু করে
ঘুমো বাছা ঘুমো রে
সাগর দিলো চুমো রে
খিদে ফুরোলো জ্বালা জুড়লো কান্না কেন ছি
বাংলাদেশের মানুষ বুকে পাষাণ বেঁধেছি।
”
সাংবাদিকতা
তিনি বহু বাংলা সংবাদপত্রে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ খৃস্টাব্দ থেকে তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কর্মরত। ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ফিচার এডিটরের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি কিশোর বাংলা পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি দৈনিক রূপালী পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
কিশোর বাংলার সম্পাদনা
তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭৬ খৃস্টাব্দে প্রকাশিত সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকার কার্যনর্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
চাঁদের হাট
তনি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় শিশুদের পাতা চাঁদের হাট সম্পাদনা করতেন। তারই সূত্রে তিনি ১৯৭৪ খৃস্টাব্দে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠান চাদেঁর হাট প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রকাশনা
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭টি।
পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার – 2009
[৬]
তথ্যসূত্র
রফিকুল হক দাদুভাইয়ের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ
দাদুভাই ও হানিফ সংকেতকে সংবর্ধনা দেবে চাঁদের হাট
ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাইয়ের জন্মদিন আজ
রফিকুল হক দাদুভাইয়ের কাল ৭৭তম জন্মদিন
ছোটদের পত্রিকার আকাল