সউদি নারী প্রেম করেছে, দেশ ছেড়েছে
কঠোর পর্দাপ্রথার মধ্যেও সউদি তরুণীরা এখন প্রেম করছে এবং এমনকী প্রেমের টানে দেশ পর্যন্ত ছেড়ে যাচ্ছে। যেমন, গত সপ্তাহে দুই বিশ্ববিদ্যালয়-ছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছে।
সউদি গেজেট পত্রিকা রবিবার এ খবর দিয়েছে। পলাতকা এক ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে (২০) কয়েকদিন আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সেদিন তার ফিরতে দেরি হলেও তারা চিন্তিত হননি। কারণ, ক্লাশ শেষে মেয়ে একটি শপিং সেন্টারে কাজ করতো। তারা ভাবেন, মেয়ে সেখানে গেছে। কিন্তু রাত ১১টায়ও মেয়ে না ফিরলে তিনি মেয়ের কর্মস্থলে যান। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাই। পরে আমি আমার আবসির রেকর্ড (অনলাইনে পাসপোর্ট ইত্যাদি খতিয়ে দেখা) ঘেঁটে দেখতে পাই, মেয়ে তার বন্ধুর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছে। মনে হয়, আমার মেয়ে আমার আবসির আকাউন্টে লগ ইন করার জন্য আমার ফোন ব্যবহার করতো। এভাবেই সে ট্র্যাভেল পারমিশন বের করেনিতে পেরেছে
মেয়ের ভ্রমণ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো টেক্সট মেসেজ না পাওয়ায়ও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
মেয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করিনি। তবে ইদানিংকোরিয়ান সংস্কৃতি তার ভালো লাগে এমন কথা বলতো। আজকাল এই বয়সের মেয়েদের মধ্যে এটাও বেশ দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা ওটা নিয়েও তেমন ভাবিনি। এখন মেয়ে যা করলো, তাতে ওর মা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। আমার কথা আর কী বলবো।
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছে সউদি আরবের আরো এক ছাত্রী। মেয়েটির ভাই জানায়, সে কীভাবে পালাতে পারলো তা জানতে তদন্ত চলছে। বাসচালক একেকবার একেক কথা বলছে। সে বলছে, সে আমার বোনকে যথাসময়ে ভার্সিটিতে নামিয়ে দেয়। কিন্তু সে যে সময়ের কথা বলছে তখন তো সে (বোন) দেশ ছেড়ে গেছে।
মেয়েটির ভাই আরো বলে, তার একা দেশ ছাড়ার কোনো পথ নেই। এর সঙ্গে নিশ্চয়ই কোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি জড়িত। নইলে ওদের পক্ষে সব কাজ একা করা অসম্ভব।