সউদি বালিকা বিদ্যালয়ে ‘টমবয়’ বাড়ছে
সউদি আরবের বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে ‘টমবয়ের’ সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদের চুল ছোট, পায়ে ছেলেদের মতো স্পোর্টস শ্যূ। হাঁটাচলাও ছেলেদের মতোই। অনেক স্কুলই ড্রেস কোড কড়াকড়িভাবে মেনে না চলায় এ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারছে বলে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এতো মেয়ে কেন তাদের জেন্ডারের সাথে সঙ্গতিবিহীন এই নেতিবাচক কাজে জড়িত হচ্ছে? সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে, সমস্যাটা পরিবারের। অনেক পরিবার বুঝতে চায় না যে, তাদের মেয়েটি ছেলেদের পোশাক পরতে ও তাদের মতো চলতে ভালোবাসে।
ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড মুহাম্মদ আল- ক্বাহতানি মনে করেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই এ ব্যাপারে অধিক মনোযোগ দেয়া দরকার।
তিনি বলেন, একটি মেয়ে কেন টমবয় হয়ে যায়, তার অবশ্যই একটা সামাজিক কারণ আছে। একটি হতে পারে, সে হয়তো তার কোনো বান্ধবী বা আত্মীয় দ্বারা প্রভাবিত, যে কিনা ছেলেদের মতো চলতে-ফিরতে ভালোবাসে। অথবা হতে পারে যে, মেয়েটি বেড়ে উঠেছে এমন এক পরিবারে, যেটিতে তার কোনো বোন নেই, সবাই ভাই। তৃতীয় কারণটি হতে পারে যে, টেলিভিশনে টমবয়দের দেখে মেয়েটি আকৃষ্ট হয়েছে।
ড ক্বাহতানি বলেন, কিছু কিছু মেয়ে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রশংসা পাওয়ার আশায় টমবয় সেজে থাকে। যতো প্রশংসা পায় ততো বেশি করে তারা এটা করে থাকে।
তিনি বলেন, অনেক মা ও শিক্ষিকা আছেন, যারা এ ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেন না। পশ্চিমাদের মতো হতে চাওয়ার বিষয়টিকে তারা আমলেই নেন না। বেশিরভাগই একে স্বাভাবিক ও অধিকার বলে মনে করে থাকে।
সমাজবিজ্ঞানী মাহা আল-মুসালাম এজন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট বিজ্ঞাপঙ্কে দায়ী করে থাকেন, যাতে মেয়েদের অস্বাভাবিক আচরণকে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পরিবার ও স্কুল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান। সূত্র : সউদি গেজেট