সমুদ্রের তলদেশে ইসরাইলের ব্যারিকেড, সমুদ্র বিক্ষোভে ফিলিস্তিনিরা
অবরুদ্ধ গাজা সীমান্তে সমুদ্রের তলদেশে তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যারিকেড নির্মাণ করছে ইসরাইল। হামাসকে রুখতেই এই অবৈধ ব্যারিকেড নির্মাণ করা হচ্ছে। বিশ্বে এ ধরনের ব্যারিকেড প্রথমবারের মতো তৈরি হচ্ছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ব্যারিকেডের প্রথম স্তরটি সাগরের তলদেশে, দ্বিতীয় স্তরটি অস্ত্রসজ্জিত পাথরের এবং তৃতীয়টি ঢিবি আকারের। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নির্মিত ব্যারিকেডটি ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হবে। এটি হামাসকে প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হবে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আশা করছে চলতি বছরের শেষের দিকে ব্যারিকেডটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডর লিবারম্যান জানান, বিশ্বে এ ধরনের ব্যারিকেড এটাই প্রথম। এটি কার্যকরভাবে সমুদ্রের মাধ্যমে ইসরাইলে অনুপ্রবেশ ঠেকাবে। শুধু তাই নয়, হামাসের কৌশলগত আক্রমণ ব্যর্থ করবে।
কয়েক দশক ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভুখণ্ডে গাজার সমুদ্র তলদেশে এবার ব্যারিকেড বসাচ্ছে দেশটি। এর প্রতিবাদে সমতল ভূমি ছেড়ে এবার সমুদ্রে বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা।
মঙ্গলবার গাজা সিটি থেকে ২০টির বেশি বোটে চড়ে ইসরাইল অভিমুখে রওনা হন বিক্ষোভকারীরা। একই দিনে গাজার অন্তত ৩০টি সামরিক আস্তানাকে টার্গেট করে বিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি স্নাইপারের বর্বরতার জেরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে ২৭টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করে হামাস। সেই ঘটনার জেরেই এই বিমান হামলা বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
মঙ্গলবার হামাস যে পরিমাণ মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে, ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও এত মর্টার শেল নিক্ষেপ করেনি সংগঠনটি। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজার ৩০টিরও অধিক সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে তারা বিমান হামলা শুরু করেছে। তাদের দাবি, হামাসের হামলার পাল্টা জবাব দিতেই ইসরাইলি সেনারা হামলা শুরু করেছে।
হামাসের হামলায় অন্তত তিনজন ইসরাইলি আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডবে ঠিক কতোজন ফিলিস্তিনি আহত কিংবা নিহত হয়েছেন তা জানা যায়নি। হামাসের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেয়া হবে বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।