সুচিত্রা সেন – লাখো বাঙালীর হৃদয়ের নায়িকা
ডঃ রমিত আজাদ
সুচিত্রা সেন নামটির সাথে পরিচয় খুব ছোটবেলা থেকেই। আমার ফুপু বয়সে তিনি সুচিত্রা সেনের কাছাকাছিই হবেন, অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা। তিনি খুব বলতেন সুচিত্রা সেনের কথা। যা বুঝতাম, উনাদের সময়ের অভিনয় জগৎের জীবন্ত কিংবদন্তী ছিলেন সুচিত্রা সেন। আমার খুব ছোট বেলায় সুচিত্রা সেনের ছবি দেখার সুযোগ হয়নি, কারণ তখন দেশে একটিই টিভি চ্যানেল ছিলো – বিটিভি। ১৯৮০-৮১ সালের দিকে বিটিভির কালার ট্রান্সমিশন চালু হয় ও বিটিভি-খ নামে আরেকটি চ্যানেল চালু হয়। কিন্তু অল্প সময় পরেই আবার এরশাদের সামরিক সরকার কৃচ্ছতা সাধনের লক্ষ্যে বিটিভি-খ চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। সেই একটি মাত্র চ্যানেলে বাংলা সিনেমা দেখানো হতো কালেভদ্রে, তাও কেবল বাংলাদেশের ছবিগুলো। এদিকে পেক্ষাগৃহেও সুচিত্রা সেনের ছবি চলেনি। আর ভিসিআর/ভিসিপি তখনও পুরোদমে আসেনি। তাই সুচিত্রা সেনের ছবি দেখার সুযোগ তখনও হয়নি।
এর মধ্যে ১৯৮৫ সালের ৭ই ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সার্ক শীর্ষ সন্মেলন (South Asian Association for Regional Cooperation)। সেটা একটা বেশ উৎসবমূখর পরিবেশ ছিলো। সারা দেশেই সাজ সাজ রব। নানাবিধ আয়োজন করা হলো এই সন্মেলনকে ঘিরে। বিটিভিও পিছিয়ে থাকলো না। সার্কভুক্ত সবগুলো দেশের একাধিক সিনেমা দেখানোর ঘোষণা হলো সপ্তাহজুড়ে। এ এক অপূর্ব সুযোগ ছিলো। এর আগে আমরা বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখেছিলাম বিটিভি-তে ১৯৮০ সালে, আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব উপলক্ষে। এবারও সেই আনন্দঘন পরিবেশ। প্রতিটি ছবিই আমরা বেশ উপভোগ করেছিলাম ঐবার। সব চাইতে বেশী উপভোগ করেছিলাম দুটি ছবি, ‘পথে হলো দেরি’ ও ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’। দুটি ছবির নায়িকাই ছিলেন সুচিত্রা সেন। এর মধ্যে ‘পথে হলো দেরি’-র নায়ক ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মহানায়ক উত্তম কুমার। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে, আমি এবং আমার বন্ধুরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছিলাম ঐ ছবি দুইটি। ছবির কাহিনী, মান, উপস্থাপনা সবকিছুই ছিলো অনবদ্য। আর সব কিছু ছাপিয়ে যিনি মনে চিরস্থায়ী দাগ কেটেছিলেন, তিনি হলেন কিংবদন্তীর নায়িকা সুচিত্রা সেন।
যেমন তাঁর রূপ সুষমা, তেমনি তাঁর অভিনয়শৈলী। ‘পথে হলো দেরি’-র একটি সংলাপ ছিলো এমন – কেউ নায়ক (উত্তম কুমার)-কে নায়িকা (সুচিত্রা সেন) সম্পর্কে প্রশ্ন করছে, “দাদা কেমন দেখলেন?” উত্তরে নায়ক বললেন, “হু, যা দেখলাম তাতে কোলকাতার রাস্তা হলে ট্র্যালফিক জ্যাম হয়ে যেত।” ছবি দুটির আরেকটি বিষয় যা ভালো লেগেছিলো তা হলো, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো পরিচ্ছন্ন ছবি।
সুচিত্রা সেনের অভিনয় প্রতিভা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়নি। যেমন ফুটিয়ে তুলতে পারেন আনন্দ-উচ্ছলতার দৃশ্য, তেমন দর্শককে বিমর্ষ করে দিতে পারেন যেকোন করুণ দৃশ্যে। ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ ছবির শেষ দৃশ্যে যখন তিনি করুণ স্বরে বলেছিলেন, “স্যার আমি অভিনয় করিনি, আমি অভিনয় করতে পারিনা।” দর্শকদের অনেকেই অশ্রু সংবরণ করতে পারেনি। আমার মনে আছে ছবি দুইটি দেখার পর আমি ফুপুকে বলেছিলাম, “আপনার প্রিয় নায়িকা সত্যিই একজন কিংবদন্তী।”
তার বছর খানেকের মধ্যেই দেশে ভিসিআর/ভিসিপি-র প্রচলন শুরু হয়ে যায়। আমাদের নিজেদের বাড়ীতেও কেনা হলো ভিসিআর। আর যায় কোথায় একের পর এক দেখতে থাকলাম সুচিত্রা সেনের ছবি। ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘সবার উপরে’, ‘গৃহ প্রবেশ’, ‘অগ্নিপরীক্ষা, ‘সাত পাঁকে বাধা’, ‘সপ্তপদী’ ইত্যাদি। আশ্চর্য্য ব্যাপার এই যে কখনো কোন ছবিতেই উনাকে খারাপ অভিনয় করতে দেখিনি। এ এক অসাধারণ গুন।
তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘সপ্তপদী’ অনেক আগেই পড়েছিলাম। মুগ্ধ হয়েছিলাম ঐ উপন্যাস পড়ে। ভেবেছিলাম এই কাহিনী অবলম্বনে একটা সিনেমা হলে বেশ হতো। একবার ভিডিও লাইব্রেরীতে গিয়ে প্রশ্ন করলাম, “‘সপ্তপদী’ নামে কোন ছবি আছে কি?” সাথে সাথে বিক্রেতা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আছেতো, সুচিত্রা সেনের। এই নিন।” নিয়ে এলাম বাড়ীতে। সবাইকে দেখালাম। ছবিটির নায়িকা একটি এ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ে। ভেবেছিলাম, সুচিত্রা সেনকে কি মানাবে এই ছবিতে? পারবেন কি ফুটিয়ে তুলতে? উনার ইমেজ তো ভিন্ন! ওমা! ছবিতে দেখলাম, এ আরেক সুচিত্রা সেন! পোষাকে-আশাকে, কথায়-চলনে পুরোদস্তুর পাশ্চাত্য আধুনিকা!
সুচিত্রা সেন নিজে গান গাইতে জানতেন জানি। গান গাইয়ে মাতিয়ে রাখতেন সঙ্গীদের এমনটাই জানা গিয়েছে উনার বান্ধবীদের কাছ থেকে । তবে কোন ছবিতে তিনি গেয়েছেন কিনা জানিনা। তবে যেটা তিনি অদ্ভুত সুন্দর পেরেছেন তা হলো, গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে এক্সপ্রেশনে একাত্ম হয়ে যাওয়া। কখনো মনেই হয়নি যে তিনি প্রকৃত গায়িকা নন।
আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়েছে সিনেমা একটা কঠিন টীম ওয়ার্ক। এখানে যেমন গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ পরিচালনা, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ অভিনয়। আমার কাছে মনে হয়েছে সুচিত্রা সেনের অভিনীত ছবিগুলোতে সব কিছু ছাপিয়ে উঠতো তাঁর অভিনয়। অবশ্য যেসব ছবিতে উত্তম কুমারের সাথে তিনি অভিনয় করতেন সেখানে সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার দুজনই চমৎকার অভিনয় করতেন কারো প্রশংসা কম করতে পারবো না। স্কুল ও কলেজ জীবনে ছোট-খাটো অভিনয় করতাম বলে অভিনয় গুনের প্রতি আমার পৃথক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। কাজটা আসলেই খুব কঠিন!
অনেকেই বলে থাকেন যে, বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সব চাইতে ভালো জুটি – উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন জুটি। এক সময় ভাবতাম তারা দুজন কি স্বামী-স্ত্রী? পরে জানলাম, না, তারা কেবলই জুটি। সুচিত্রা সেনের স্বামী ভিন্ন। আরো জানলাম যে, সিনেমার অভিনয় জগৎে তিনি এসেছিলেন বিবাহিতা অবস্থায়। আরো পুলকিত হয়েছিলাম এই জেনে যে, ভারতীয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করা এই অসাধারন অভিনেত্রী আমাদের পূর্ব বাংলারই সন্তান। একমনকি উনার শ্বশুর বাড়ীও ঢাকার গেন্ডারিয়ায়।
সুচিত্রা সেনের অভিনিত ছবিতে গাওয়া কিছু গান এখনো আমার কানে বাজে, ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগনো গান শোনাবার’ , ‘তুমি না হয় রহিতে কাছে, কিছুক্ষণ আরো নাহয় রহিতে কাছে’ , ‘পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ায় রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলি, আমি কস্তুরী সে নিজের গন্ধে নিজেই ভুলি’,’এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’, ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়’ ইত্যাদি। আমি নিশ্চিত যে বাংলা ছবির (ভারতীয় ও বাংলাদেশী) প্রায় সব অভিনেত্রীরই আইডল সুচিত্রা সেন। তিনি লাখো বাঙালীর হৃদয়ের রাণী।
১৯৩১ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সেনভাঙার জমিদার বাড়িতে রমা দাশগুপ্ত (পরবর্তীতে সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত হন) জন্ম নেন। তিনি কৃষ্ণা দাশগুপ্ত হিসাবেও বন্ধুদের কাছে পরিচিত ছিলেন। পরে পাবনা শহরের দিলালপুরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। সুচিত্রা সেন পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে চলে যান তারা। সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত একজন গৃহবধু। তিনি বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা ছিলেন। পাবনাতেই তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা শুরু হয়। স্কুল-ছাত্রী থাকাকালীন তার মধ্যে সাংস্কৃতিক কাজকর্মে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ছিলো। তিনি ভাল গান গাইতে পারতেন, নাচতে পারতেন ও নাটকে অভিনয়ে ছিলেন সাবলীল। ১৯৪৭ সালে বাংলার বিশিষ্ট শিল্পপতি দিবানাথ সেন-এর সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন সুচিত্রা। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’। ঐ বছরেই উত্তম কুমারের সঙ্গে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। ছবিটি বক্স-অফিসে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে। তারপর থেকে আর সুচিত্রা সেনকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা ছবির এক অবিসংবাদিত জুটি হিসেবে পরবর্তী ২০ বছরে উত্তম-সুচিত্রা ছিলেন আইকন স্বরূপ। ১৯৫৫ সালে হিন্দি ভাষায় ‘দেবদাস’ ছবিতে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। ১৯৭৪ সালে ‘আঁধি’ আমে আরেকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবিতে একজন রাজনীতিকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুচিত্রাকে। সর্বমোট সাতটি হিন্দী ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, এছাড়া একটি তামিল ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। উত্তমকুমারের সঙ্গে তার শেষ অভিনীত ছবি হীরেন নাগ পরিচালিত ‘প্রিয়বান্ধবী’, সেটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। সুচিত্রা সেনের শেষ অভিনীত ছবি ‘প্রণয় পাশা’ ১৯৭৮ সালে মুক্তি পেলেও তেমন চলেনি। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভারত সরকার তাকে ১৯৭২ সালে ” পদ্মশ্রী ” পুরস্কারে ভূষিত করেন এবং ২০০৫ সালে তাকে ” দাদা সাহেব ফালকে ” পুরুস্কারে ভূষিত করেন কিন্তু তিনি তাহা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন । চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেসময় মেয়ে মুনমুন সেন তার মায়ের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন। মহানায়ক উত্তম কুমার এর মৃত্যুর পরে তিনি তাকে ফুল দিতে যান, তারপর একবারে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান ।
আজ শুক্রবার ১৭ই জানুয়ারী ২০১৪ সালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তম নায়িকা সুচিত্রা সেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সকাল ৮.২৫ মিনিটে মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল (বেল ভিউ ক্লিনিক)-এ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে গত ২৪ ডিসেম্বর এই হাসপাতালে ভর্তি হন সুচিত্রা সেন। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন কন্যা মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রাইমা ও রিয়া সেনকে।
‘সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্র জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া’ – এমনটি লেখা হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, কিন্তু আমি মনে করি কেবল চলচ্চিত্র নয়, সংস্কৃতিমনা প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাই তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শিল্পী, কলাকুশলী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন। মানুষের জীবন অনন্ত নয় জানি, তার পরেও মনে হয় তিনি যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতেন!
—————————–
তুমি না হয় রহিতে কাছে,
কিছুক্ষণ আরো নাহয় রহিতে কাছে,
আরো কিছু কথা নাহয় বলিতে মোরে
এই মধুক্ষণ মধুময় হয়ে নাহয় উঠিত ভরে।।
সুরে সুরভীতে নাহয় ভরিত বেলা
মোর এলো চুল লয়ে বাতাস করিত খেলা।
ব্যাকুল কত না বকুলের কুড়ি রয়ে রয়ে যেত ঝরে,
ওগো নাহয় রহিতে কাছে।।
কিছু দিয়ে নিয়ে ওগো মোর মনময়
সুন্দরতর হতো নাকি বলো
একটু ছোঁয়ার পরিচয় ভাবের লীলায় না হয় ভাবিতো আঁখি।
তথ্যসূত্রঃ
১। সুচিত্রা সেনের জীবনী সংক্রান্ত তথ্যাবলী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইন্টারনেট থেকে নেয়া হয়েছে। সকল লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সূত্র: somewhereinblog.net
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুচিত্রা সেন
বিমল রায়ের দেবদাস (১৯৫৫) ছবিতে পারু চরিত্রে সুচিত্রা সেন
জন্ম রমা দাশগুপ্ত
৬ এপ্রিল ১৯৩১
পাবনা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(অধুনা বাংলাদেশ)
মৃত্যু ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ (৮২ বছর)
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জাতীয়তা ভারতীয়
বংশোদ্ভূত বাঙালি
কার্যকাল ১৯৫৩–১৯৭৯
উল্লেখযোগ্য কাজ সাত পাকে বাঁধা
সপ্তপদী
শাপমোচন
হারানো সুর
দীপ জেলে যাই
ধর্ম হিন্দুধর্ম
দম্পতি দিবানাথ সেন
সন্তান মুনমুন সেন
পুরস্কার পদ্মশ্রী, বঙ্গবিভূষণ
সুচিত্রা সেন (৬ এপ্রিল, ১৯৩১ – ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। [২] তাঁর জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
১৯৬৩ সালে সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন “সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস” জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।[৩][৪] ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।[৫] শোনা যায়, ২০০৫ সালে তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল; কিন্তু সুচিত্রা সেন জনসমক্ষে আসতে চান না বলে এই পুরস্কার গ্রহণ করেননি।[৬] ২০১২ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা বঙ্গবিভূষণ প্রদান করা হয়।[৭]
পরিচ্ছেদসমূহ
১ ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষা
২ চলচ্চিত্র জীবন
২.১ উত্তম-সুচিত্রা জুটি
২.২ সম্মাননা
৩ অন্তরীন জীবন
৪ মৃত্যু
৫ পরিবার
৬ চলচ্চিত্রের তালিকা
৭ পুরস্কার ও সম্মাননা
৮ তথ্যসূত্র
৯ বহিঃসংযোগ
ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষা
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অমত্মর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে সুচিত্রা সেনের জন্ম।) পাবনা জেলার সদর পাবনায় সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৮][৯] তাঁর বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন এক স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।[১০]
১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়।[১১] তাঁদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। ১৯৫২ সালে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত হন।[১২]
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি।
উত্তম-সুচিত্রা জুটি
উত্তম কুমারের বিপরীতে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি উপহারের কারনে আজও স্মরনীয় হয়ে আছে। বাংলা ছবির এই অবিসংবাদিত জুটি পরবর্তী ২০ বছরে ছিলেন আইকন স্বরূপ।
সম্মাননা
১৯৫৫ সালের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর দাদাসাহেব সম্মাননা প্রদান করে ভারত সরকার। চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।[১৩]
অন্তরীন জীবন
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। [১] ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারনে তাকে পুরস্কার দেয়া হয় নি।
মৃত্যু
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়।[১৪][১৫] তিন সপ্তাহ আগে ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।[১৬] পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শেষকৃত্যে গান স্যালুট দেবার কথা ঘোষণা করেন।[১৬] ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী-পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠান।[১৭]
পরিবার
তার মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা
নম্বর সাল চলচ্চিত্র মুক্তির তারিখ নামভূমিকা পরিচালক নায়ক মন্তব্য
1 ১৯৫২ শেষ কোথায় অমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি মুক্তি পাইনি
2 ১৯৫৩ সাত নম্বর কয়েদী ৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৩ সুকুমার দাশগুপ্ত সমর রায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি
3 ১৯৫৩ সাড়ে চুয়াত্তর ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৩ রমলা নির্মল দে উত্তম কুমার
4 ১৯৫৩ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ১১ ডিসেম্বর ১৯৫৩ বিষ্ণুপ্রিয়া দেবকী বসু বসন্ত চৌধুরী
5 ১৯৫৩ কাজরী ১০ এপ্রিল ১৯৫৩ নীরেন লাহিড়ী নায়ক নেই
6 ১৯৫৪ অ্যাটম বম্ব ১ জানুয়ারী ১৯৫৪ তারু মুখোপাধ্যায় রবীন মজুমদার এক্সট্রা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ছবির প্রধান নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
7 ১৯৫৪ ওরা থাকে ওধারে ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৪ প্রমীলা সুকুমার দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
8 ১৯৫৪ ঢুলি ৩ জুন ১৯৫৪ মিনতি পিনাকী মুখোপাধ্যায় প্রশান্ত কুমার
9 ১৯৫৪ মরণের পরে ২৫ জুন ১৯৫৪ তনিমা সতীশ দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
10 ১৯৫৪ সদানন্দের মেলা ১৬ জুলাই ১৯৫৪ শীলা সুকুমার দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
11 ১৯৫৪ অন্নপূর্ণার মন্দির ৬ আগস্ট ১৯৫৪ সতী নরেশ মিত্র উত্তম কুমার
12 ১৯৫৪ অগ্নিপরীক্ষা (চলচ্চিত্র) ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ তাপসী অগ্রদূত উত্তম কুমার
13 ১৯৫৪ গৃহপ্রবেশ ১২ নভেম্বর ১৯৫৪ অজয় কর উত্তম কুমার
14 ১৯৫৪ বলয়গ্রাস ১৭ ডিসেম্বর ১৯৫৪ মণিমালা পিনাকী মুখোপাধ্যায়
15 ১৯৫৫ সাঁঝের প্রদীপ ২৮ জানুয়ারী ১৯৫৫ রাজু সুধাংশু মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
16 ১৯৫৫ দেবদাস ১ জানুয়ারী ১৯৫৫ পার্বতী (পারু) বিমল রায় দিলীপ কুমার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস “দেবদাস” অবলম্বনে নির্মিত প্রথম হিন্দি ছবি
17 ১৯৫৫ সাজঘর ১১ মার্চ ১৯৫৫ অজয় কর বিকাশ রায়
18 ১৯৫৫ শাপমোচন ২৭ মে ১৯৫৫ মাধুরী সুধীর মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
19 ১৯৫৫ মেজ বৌ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ দেবনারায়ণ গুপ্ত বিকাশ রায়
20 ১৯৫৫ ভালোবাসা ৬ অক্টোবর ১৯৫৫ দেবকী বসু বসন্ত চৌধুরী
21 ১৯৫৫ সবার উপরে ১ ডিসেম্বর ১৯৫৫ রিতা অগ্রদূত উত্তম কুমার
22 ১৯৫৬ সাগরিকা ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ সাগরিকা অগ্রগামী উত্তম কুমার
23 ১৯৫৬ শুভরাত্রি ৩০ মার্চ ১৯৫৬ শান্তি সুশীল মজুমদার বসন্ত চৌধুরী
24 ১৯৫৬ একটি রাত ১১ মে ১৯৫৬ সান্ত্বনা চিত্ত বসু উত্তম কুমার
25 ১৯৫৬ ত্রিযামা ২৮ জুন ১৯৫৬ স্বরুপা অগ্রদূত উত্তম কুমার
26 ১৯৫৬ শিল্পী ৩০ নভেম্বর ১৯৫৬ অঞ্জনা অগ্রগামী উত্তম কুমার
27 ১৯৫৬ আমার বৌ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬ খগেন রায় বিকাশ রায়
28 ১৯৫৭ হারানো সুর ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ ডঃ রমা ব্যানার্জি অজয় কর উত্তম কুমার
29 ১৯৫৭ চন্দ্রনাথ ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭ সরযূ কার্তিক চট্টোপাধ্যায় উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস “চন্দ্রনাথ” অবলম্বনে
30 ১৯৫৭ পথে হল দেরী ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭ মল্লিকা ব্যানার্জি অগ্রদূত উত্তম কুমার
31 ১৯৫৭ জীবন তৃষ্ণা ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭ শকুন্তলা অসিত সেন উত্তম কুমার
32 ১৯৫৭ মুসাফির শকুন্তলা বর্মা হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় শেখর হিন্দি ছবি
33 ১৯৫৭ চম্পাকলি চম্পাকলি নন্দলাল জসবন্তলাল ভারত ভূষণ হিন্দি ছবি
34 ১৯৫৮ রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৮ রাজলক্ষ্মী হরিদাস ভট্টাচার্য উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস “রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত” অবলম্বনে
35 ১৯৫৮ সূর্যতোরণ ২১ নভেম্বর ১৯৫৮ অনিতা চ্যাটার্জি অগ্রদূত উত্তম কুমার
36 ১৯৫৮ ইন্দ্রাণী (১৯৫৮-এর চলচ্চিত্র) ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ ইন্দ্রাণী নীরেন লাহিড়ী উত্তম কুমার
37 ১৯৫৯ দীপ জ্বেলে যাই ১ মে ১৯৫৯ রাধা মিত্র অসিত সেন বসন্ত চৌধুরী
38 ১৯৫৯ চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯-এর চলচ্চিত্র) ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৯ মঞ্জু যাত্রিক উত্তম কুমার
39 ১৯৬০ হসপিটাল ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ শর্বরী সুশীল মজুমদার অশোক কুমার
40 ১৯৬০ স্মৃতিটুকু থাক ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ শোভা/উৎপলা যাত্রিক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায় প্রথম বার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়
41 ১৯৬০ বোম্বাই কা বাবু মায়া রাজ খোসলা দেব আনন্দ হিন্দি ছবি
42 ১৯৬০ সরহদ শঙ্কর মুখার্জি দেব আনন্দ হিন্দি ছবি
43 ১৯৬১ সপ্তপদী ২০ অক্টোবর ১৯৬১ রিনা ব্রাউন অজয় কর উত্তম কুমার
44 ১৯৬২ বিপাশা ২৬ জানুয়ারী ১৯৬২ বিপাশা অগ্রদূত উত্তম কুমার
45 ১৯৬৩ সাত পাকে বাঁধা ২২ মার্চ ১৯৬৩ অর্চনা অজয় কর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
46 ১৯৬৩ উত্তর ফাল্গুনী ১১ অক্টোবর ১৯৬৩ দেবযানী / পান্নাবাঈ / সুপর্ণা অসিত সেন দিলীপ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায় দ্বৈত চরিত্র
47 ১৯৬৪ সন্ধ্যাদীপের শিখা ২ অক্টোবর ১৯৬৪ জয়ন্তী ব্যানার্জি হরিদাস ভট্টাচার্য দিলীপ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায়
48 ১৯৬৬ মমতা দেবযানী / পান্নাবাঈ / সুপর্ণা অসিত সেন ধর্মেন্দ্র / অশোক কুমার বাংলা চলচ্চিত্র “উত্তর ফাল্গুনী” এর হিন্দি সংস্করণ
49 ১৯৬৭ গৃহদাহ ৫ মে ১৯৬৭ অচলা সুবোধ মিত্র উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস “গৃহদাহ” অবলম্বনে
50 ১৯৬৯ কমললতা ২ অক্টোবর ১৯৬৯ কমললতা হরিসাধন দাশগুপ্ত উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস “কমললতা” অবলম্বনে
51 ১৯৭০ মেঘ কালো ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ ডঃ নির্মাল্য রায় সুশীল মুখোপাধ্যায় বসন্ত চৌধুরী
52 ১৯৭১ নবরাগ ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ নারায়ণী / রিনা বিজয় বসু উত্তম কুমার
53 ১৯৭১ ফরিয়াদ ৫ নভেম্বর ১৯৭১ রতনমালা বিজয় বসু উৎপল দত্ত
54 ১৯৭২ আলো আমার আলো ১৭ মার্চ ১৯৭২ অতসী পিনাকী মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
55 ১৯৭২ হার মানা হার ১৯ ডিসেম্বর ১৯৭২ নীরা (নীরজা) সলিল সেন উত্তম কুমার
56 ১৯৭৪ দেবী চৌধুরানী ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ প্রফুল্লমুখী দীনেন গুপ্ত রঞ্জিত মল্লিক
57 ১৯৭৪ শ্রাবণ সন্ধ্যা ২৫ জানুয়ারী ১৯৭৪ বীরেশ্বর বসু সমিত ভঞ্জ
58 ১৯৭৫ প্রিয় বান্ধবী ৩ অক্টোবর ১৯৭৫ শ্রীমতী হীরেন নাগ উত্তম কুমার
59 ১৯৭৫ আঁধি ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৫ আরতি দেবী গুলজার সঞ্জীব কুমার হিন্দি ছবি
60 ১৯৭৬ দত্তা ৩০ জুলাই ১৯৭৬ বিজয়া অজয় কর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস “দত্তা” অবলম্বনে
61 ১৯৭৮ প্রণয় পাশা ৯ জুন ১৯৭৮ মঙ্গল চক্রবর্তী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
পুরস্কার ও সম্মাননা
বছর পুরস্কার/সম্মাননা ফলাফল চলচ্চিত্র
১৯৬৩ ৩য় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব – শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জয়ী সাত পাকে বাঁধা
১৯৬৬ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত মমতা
১৯৭২ পদ্মশ্রী চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য[৫]
১৯৭৬ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত আঁধি
২০১২ বঙ্গবিভূষণ চলচ্চিত্রে সারা জীবনের অবদানের জন্য
তথ্যসূত্র
“Actress Suchitra Sen passes away”। Filmcircle.com। সংগৃহীত Jan ১৭, ২০১৪।
Sharma, Vijay Kaushik, Bela Rani (১৯৯৮)। Women’s rights and world development। New Delhi: Sarup & Sons। পৃ: ৩৬৮। আইএসবিএন 8176250155http://books.google.co.in/books?id=qnJ9J9UygR0C&pg=PA368 |isbn= মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।
“Suchitra Sen, Bengal’s sweetheart”। NDTV। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি ২০১৪।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: অবৈধ ট্যাগ; Moscow1963 নামের ref গুলির জন্য কোন টেক্সট প্রদান করা হয়নি
“Padma Awards Directory (1954-2013)”। Ministry of Home Affairs। “1972: 130: Smt Suchitra Sen”
“Suchitra Sen awarded Banga-Bibhusan”। Zee News India। মে ২০, ২০১২। সংগৃহীত ২ জুন ২০১২।
Das, Mohua (মে ২০, ২০১২)। “The perils of a packed prize podium Ravi Shankar declines award”। Telegraph, Kolkata (Calcutta, India)। সংগৃহীত ২ জুন ২০১২।
Deb, Alok Kumar। “APRIL BORN a few PERSONALITIES”। www.tripurainfo.com। সংগৃহীত ২৩ অক্টোবর ২০০৮।
“Garbo meets Sen Two women bound by beauty and mystery”। Telegraph (Calcutta, India)। ৮ জুলাই ২০০৮। সংগৃহীত ২ জুন ২০১২।
http://www.sirajganj.gov.bd/node/367534
Chakraborty, Ajanta (১৮ Jun ২০১১)। “Actress Suchitra Sen’s secrets out!”। TNN (Times of India)।
Pal, Deepanjana (১৭ Jan ২০১৪)। “RIP Suchitra Sen. It is the end of a fairytale”। Firstpost। সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি ২০১৪।
প্রথম আলো
“Veteran acctress Suchitra Sen dies in Kolkata hospital after massive heart attack”। Financial Express। ২০১২-০৬-১২। সংগৃহীত ২০১৪-০১-১৭।
“Suchitra Sen suffers massive heart attack, passes away – Entertainment – DNA”। Dnaindia.com। ২০১৩-১০-২২। সংগৃহীত ২০১৪-০১-১৭।
“BBC News – Suchitra Sen: Iconic Indian Bengali actress dies”। Bbc.co.uk। সংগৃহীত ২০১৪-০১-১৭।
“Indian Leaders Condole the Sad Demise of Suchitra Sen”। Biharprabha News। সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি ২০১৪।