স্বাস্থ্যকর নাশতায় শিশুদের পড়ালেখা ভালো হয়

সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সকালের নাশতার যোগসূত্রের বিষয়টি এরই মধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে। এবার নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতার সঙ্গে শিশুদের ভালো ফলেরও সম্পর্ক রয়েছে। এ গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, শিশুরা যদি স্বাস্থ্যকর নাশতা গ্রহণ করে, তবে তারা পরীক্ষায় নম্বরও পায় বেশি। খবর টিএনএন।

শিশুদের ওপর নাশতার প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি করেছে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে পাঁচ হাজার শিশুর তথ্য নেয়া হয়েছে, যাদের বয়স ৯-১১ বছর। গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান হানাহ লিটলেকট বলেন, নাশতা গ্রহণের সঙ্গে সাধারণ স্বাস্থ্যের বিষয়টি একটি পূর্বাপর ঘটনা। মনোযোগ ও জ্ঞান সম্বন্ধীয় বিষয়গুলোর সঙ্গে শিক্ষার ফলাফল নির্ভর করে। তবে এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি।

এ গষেণার ফলাফল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনের অধ্যাপক জানান, যুক্তরাজ্যের অনেক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য নাশতার ব্যবস্থা করছে। এসব প্রকল্প থেকে তরুণ প্রজন্ম যেন উপকৃত হয়, সেজন্য তারা এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সকালের নাশতার মাধ্যমে শরীর দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে, যা পরে চেতন ক্রিয়া, স্বাস্থ্য ও স্কুলে উপস্থিতি এবং পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালের নাশতা শ্রেণীকক্ষে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণেরও অভ্যাস তৈরি করে। যেমন তারা দিনের বাকি অংশে মিষ্টি ও চিপস গ্রহণে বিরত থাকে এবং ফল ও শাক-সবজির প্রতি আগ্রহী হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.