স্মার্টফোনে কী গেমস খেলছে আপনার সন্তান?

বড়দের মতই সমানতালে স্মার্টফোনে গেমস খেলছে আপনার সন্তান। বা গেমস খেলার জন্য নিজের হাতেই তার রয়েছে একটি ফোন। নিজের মত থাকছে ঘরের কোণে তাই আপনিও খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। কিন্তু কি ধরণের গেমস খেলছে তার উপর বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা ও আচরণ অনেকটাই নির্ভর করে। তাই খোঁজখবর রাখতে হবে আপনার শিশুকে কি ধরণের গেমস ডাউনলোড করে দিচ্ছেন বা দেওয়া উচিৎ। আর দিনের কতক্ষণ গেমস খেলছে সেটার সময়ও বেঁধে দিতে পারেন। আপনার শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়ক হতে পারে সঠিক একটি গেম। অ্যানড্রয়েড, উইন্ডোজ বা আইওএস ফোনের গেমসের ক্যাটাগরী থেকে বেছে নিতে পারেন আর্কেড, এডুকেশনাল, পাজল, স্ট্র্যাটেজি, ওয়ার্ড- এ ধরণের গেমস। এতে গেমস খেলার সাথে সাথে শিশুর চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা ও মানসিক দক্ষতা বাড়বে।

রূপকথা বা এডভেঞ্চার ধরণের গেমস খেলে আপনার শিশু মননশীল ও সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে, নিজের মত হারিয়ে যেতে পারে কল্পনার রাজ্যে। এতে শিশুর গল্পের বই পড়ার অভ্যাসও গড়ে উঠতে পারে। শিশুকে অ্যাকশনধর্মী গেমস খেলতে না দেয়াই ভাল, এতে শিশুর হিংস্র হয়ে ওঠার কিছুটা সম্ভাবনা আছে। আপনার শিশুর যদি গেমস খেলার জন্য নিজস্ব স্মার্টফোন থাকে তাহলে সেটির নিয়ন্ত্রণ রাখুন আপনার হাতেই। স্কুল থেকে ফিরে দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম নেয়ার পর তার হাতে দিতে পারেন ফোনটি। কিন্তু আপনার আশেপাশে যদি থাকে বাচ্চাদের খেলার উপযোগী কোনো মাঠ বা পার্ক তাহলে বিকালে পাঠাতে পারেন সেখানে। এতে আপনার শিশু বাইরের পরিবেশে সবার সাথে মিশতে শিখবে, এছাড়া শরীরও থাকবে সুস্থ। কিন্তু এ ধরণের কোনো সুযোগ না থাকলে বিকালে আপনার শিশুর বিনোদনের জন্য তার হাতে স্মার্টফোন দিতে পারেন। সন্ধ্যায় ফোন নিয়ে নিন, তাকে পড়তে বসান। পড়া শেষ হলে আবার ঘুমানোর আগ পর্যন্ত গেমস খেলতে দিতে পারেন। কিন্তু তার ঘুমানোর সময়টা হতে হবে নির্দিষ্ট, তাই ঘুমানোর আগে ফোনটি নিয়ে নিন নিজের জিম্মায়। গেমসে আসক্ত হয়ে পড়াশোনা যেন বাদ না যায় তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিশুর কাজের একটি রুটিন তৈরী করে ফেলুন। শিশুকে বুঝিয়ে বলুন রুটিন মেনে চলার ব্যাপারটি। সারা সপ্তাহ রুটিন মেনে চললে ছুটির দিনে ওর জন্য উপহার বা ঘুরতে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার শিশুরও থাকবে সপ্তাহজুড়ে নিয়ম মেনে চলার আগ্রহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.