হরেকরকম চরিত্রের চঞ্চল
আলমগীর কবির
দর্শক নানারূপে দেখেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গ্রামের সহজ সরল বালক, সব ধরনের চরিত্রেই নিজেকে উপস্থাপনে বেশ সাবলীলতার পরিচয় রয়েছে তার। আর এই চরিত্রগুলো ফুটে উঠেছে সিনেমা কিংবা নাটকে। কিন্তু একটি সিনেমা বা নাটকে তাকে সর্বোচ্চ কতটি চরিত্রে দেখা গেছে? উত্তর আসতে পারে, একটি বা দু’টি। এ জায়গায়ই এবার পরিবর্তন এনেছেন চঞ্চল। তার সদ্য শুটিং হওয়া আয়নাবাজি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন হরেক রকম চরিত্রে। চঞ্চলের ভাষায়, ‘আয়নাবাজিতে আমি ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেছি।’ পরিচালনা করেছেন অমিতাভ রেজা। এখন ছবিটির ডাবিংয়ের কাজ চলছে।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘একসাথে এতগুলো চরিত্রে অভিনয় করা ছিল চ্যালেঞ্জ। শুটিং শুরুর আগে প্রতিটি চরিত্র নিয়ে আমাকে ভাবতে হয়েছে। একেকটি চরিত্রের সাথে একেক ধরনের রূপসজ্জার ব্যাপারও আছে। আর কাজটি খুব চমৎকারভাবে করেছেন কলকাতা থেকে আসা রূপসজ্জাশিল্পী মোহাম্মদ আলী। চরিত্রের সাথে মানানসই রূপসজ্জার দায়িত্বটি তিনি সঠিকভাবে পালন করায় আমি অভিনয়ে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে অমিতাভ রেজাকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এতেও তিনি শতভাগ সফল হয়েছেন। তা ছাড়া এ ছবির সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন বাংলাদেশের নামকরা সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান। এক কথায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেরা মানুষই আয়নাবাজি ছবির সাথে যুক্ত আছেন। সব মিলিয়ে এ ছবিটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।’
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়া এতে আরো অভিনয় করেছেন- নাবিলা, লুৎফর রহমান জর্জ, হীরা চৌধুরী, শওকত ওসমান, গাউসুল আলম শাওন, সঙ্গীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া প্রমুখ। আয়নাবাজি ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছবির মূল কাহিনী ও ভাবনা গাউসুল আলম শাওনের। চিত্রনাট্য লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম শাওন।