হাত খরচ মেটাতে নাম লেখান ফ্রিল্যান্সিংয়ে

হাত খরচ মেটাতে নাম লেখান ফ্রিল্যান্সিংয়ে

নাদিম মজিদ

২০১৩ সালে কলেজে পড়ার সময় পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে আয়ের কথা শুনেছিলেন নাহার নিশা। বিষয়টিকে জানার আগ্রহ আর হাতখরচা মেটাতে নাম লেখান ফ্রিল্যান্সিংয়ে।  অনলাইন ইন্টারনেট মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক এবং টুইটার পেজ ম্যানেজ এবং মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করে থাকেন। বর্তমানে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে তার ভালো লাগে। এ বিষয়ে পরিবারের সমর্থন তো আছেই। সেসঙ্গে বন্ধুবান্ধবও উত্সাহ দিচ্ছেন নিশাকে।

বাংলাদেশে নারীদের ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হতে পারে বলে মনে করেন নিশা। ‘বাংলাদেশে মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে আসা উচিত। অন্য অনেক ক্ষেত্র থেকে এটি বেশ নিরাপদ।’ বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংকে আরো জনপ্রিয় করতে সরকারেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন নিশা। ‘উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথের দাম আরো কমানো প্রয়োজন। এতে ভালো স্পিড পাওয়া যাবে। গ্রামের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী হবে।’

ফ্রিল্যান্সিংয়ে শুধু নিজের ক্যারিয়ার নয়, মানবকল্যাণে ব্যবহার করতে চান নিশা। একে ঘিরে তার ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশা জানান, ‘গ্রামের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে। এতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং আয়ে আরো এগিয়ে যাবে।’ এমনকি শখ করে এ পেশায় এলেও পড়াশোনা শেষ করে এ খাতেই ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখে নিশা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.