২০১৫ সালে ক্রিকেটে ‘দ্বিতীয় সেরা’ বাংলাদেশ

চলতি বছরে জয়ের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ‘দ্বিতীয় সেরা’ অবস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

২০১৫ সালে ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ১১টিতে জয় তুলে নিয়েছে টাইগার বাহিনি। এ তালিকায় ২৪টি ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জয় তুলে নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ক্যালেন্ডারে বছর না ফুরালেও ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ফুরিয়েছে বাংলাদেশের এ বছরটি। চলতি বছরে আর কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশ দলের। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে সাফল্যের রঙে রঙিন করে বছর শেষ করলো মাশরাফি বাহিনী।

এ বছরটির সাফল্যগাঁথা যেন রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। বছরের শুরুতে (ফেব্রয়ারি) বিশ্বকাপ মিশনে নামে মাশরাফি বাহিনী। আম্পায়ারের বিতর্কিত দুটি সিদ্ধান্ত না এলে বিশ্ব আসরে স্বপ্নের সেমিফাইনাল খেলতে পারতো বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরে যেন আরও টগবগে হয়ে ওঠে ক্রিকেটাররা।

এপ্রিলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে টাইগাররা। জুনে ভারতকেও সিরিজ হারায় বাংলাদেশ (২-১)। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রুখে দেয় ক্রিকেট বিশ্বের নতুন শক্তির দেশটি।

সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে মাশরাফির দল। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে নয় থেকে উঠে আসে সাত-এ।

এ বছরটিতে ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। যার মধ্যে জয় ১১টিতে, পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছে সাতটি ম্যাচ। ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে জয় পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

এ বছর বাংলাদেশ দলে ওয়ানডে ক্যাপ পরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন কুমার দাস। অভিজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাট-বলের দুই তরুণের অর্ন্তভুক্তিতে ব্যালান্সড দল হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে সুনাম কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীতেও এই জয়স্রোত অব্যহত থাকবে- এটাই প্রত্যাশা সব ক্রিকেটপ্রেমীর।

বিডিলাইভ রিপোর্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.