৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তানের ফুটপাত পরিষ্কার হবে: মেয়র
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের জন্য পুরোপুরি পরিষ্কার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় এ ঘোষণা দেন তিনি। ডিএসসিসির উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীর গুলিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। দিনে কয়েক লাখ মানুষ এ পথে চলাচল করে। তাই এই এলাকার ফুটপাথ পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে ব্যবসা করতে পারবেন হকাররা। তিনি আরও বলেন, ফুটপাথ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। এসব পুলিশ ও নেতাদের কাউকে কোনো ধরনের চাঁদা না দিতে হকারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আগেই ডিএসসিসির সব এলাকার অবৈধ রাজনৈতিক বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণে সক্ষম হয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে নগরের সব বাসিন্দা ও গণমাধ্যমের সহায়তা দরকার।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিস্তান টিঅ্যান্ডটি (টেলিফোন) ভবনের পূর্ব পাশে দেয়াল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুটপাথের প্রায় ৩৫টি অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাড়িয়া ইউনিট যুবলীগ কার্যালয় ও চারটি বাস কাউন্টার। এসব দোকানপাট নিয়ে এলাকাটির নাম দিয়েছিল ‘সিটি মার্কেট।’ বেলা ১২টার দিকে সুন্দরবন মার্কেটের চারপাশের অবৈধ অস্থায়ী প্রায় ৪০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার অধিকাংশই ছিল জুতা ও শীতের কাপড়ের দোকান। দুপুরের পর ফুলবাড়িয়ার বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের ফুটপাতে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০টি টং দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস শোয়েব ও মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া অভিযানে ডিএসসিসির প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও র্যাবের প্রায় ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ডিএসসিসির বিভিন্ন এলাকায় আগামী এক মাস এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে।