৬০ বছর ধরে সমুদ্রসৈকতে চলছে আজব ক্রিকেট
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকররা এমন ক্রিকেট কোনওদিনই খেলেননি। সব অর্থেই এ এক অন্য ধরনের খেলা। এই খেলায় জয় নেই। পরাজয়ও নেই।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকররা এমন ক্রিকেট কোনওদিনই খেলেননি। সব অর্থেই এ এক অন্য ধরনের খেলা। এই খেলায় জয় নেই। পরাজয়ও নেই। সবুজ ঘাসে মোড়া মাঠে এই ক্রিকেট খেলা হয় না। বাইশ গজও অপিরিচিত অনেকের। তবুও চলে ক্রিকেট। এই খেলা যেন মনের আরাম, আত্মার শান্তি।
যতক্ষণ না সমুদ্রের ঢেউ এসে গ্রাস করছে সৈকত, ততক্ষণ ধরে চলতে থাকে খেলা। শুধু যুবারা নন, বয়স এসে থাবা বসিয়েছে যাঁদের শরীরে, তাঁরাও চুটিয়ে খেলেন এই ক্রিকেট ম্যাচ। সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে যখন সৈকত চলে যায় জলের গর্ভে, তখনই আম্পায়ার জানিয়ে দেন, খেলা শেষ।
এই ম্যাচের স্কোরকার্ড যাই হোক না কেন, দিনের শেষে দু’ দলই জয়ী। দিনান্তে ক্রিকেটাররা নৌকো করে আবার ফিরে যান নিজেদের বাড়ি। দীর্ঘ ৬০ বছরের পরম্পরা মেনে প্রতিবছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের ব্রামবল ব্যাঙ্ক সমুদ্রসৈকতে অনুষ্ঠিত হয় এই ক্রিকেট খেলা। হাম্বলের দ্য রয়াল সাদার্ন ইয়াচ ক্লাব ও আইল্যাল্ড সেইলিং ক্লাবের মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫০ সালে পার্খার্স্ট সংশোধনাগারের আসামীরা প্রথমে ব্রামবল ব্যাঙ্কে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। সেই সময়ে সংশোধনাগারের অফিসাররা মনে করেছিলেন, এঁরা কোনওদিন পালিয়ে যাবে না। তাই তাঁদের খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় থেকেই প্রতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। সূত্র: এবেলা।